সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার (Ramon Magsaysay award) প্রত্যাখ্যান করলেন কেরলের (Kerala) প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা। করোনাকাল ও নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ যখন মাথাচাড়া দিয়েছিল রাজ্যে, সেই সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর যে অবদান তারই স্বীকৃতি হিসেবে ৬৪ তম ম্যাগসাইসাই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সিপিএম (CPIM) নেত্রী শৈলজা জানিয়ে দিয়েছেন, দলের সঙ্গে আলোচনার পরে এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বর্ষীয়ান নেত্রী শৈলজা বলেন, ”আমাকে পুরস্কার কমিটির তরফে জানানো হয়েছে নির্বাচিত হওয়ার কথা। আমি একজন রাজনৈতিক নেত্রী। এই পুরস্কার সাধারণত কোনও রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের দেওয়া হয় না। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে বিষয়টি আমি আমার দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। এবং আমরা দলগত ভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি পুরস্কার না নেওয়ার।”
[আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় প্রয়াত টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি]
কিন্তু ঠিক কী কারণে কেন পুরস্কারটি নিতে রাজি নন শৈলজা? ম্যাগসাইসাই যে বড় পুরস্কার, তা মেনে নিয়েও বাম নেত্রীর দাবি, এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যা বাম আদর্শ মেনে চলে না।
ফিলিপিন্সের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামন ম্যাগসাইসাই নামে এই পুরস্কারটি চালু হয় ১৯৫৭ সালে। এটিই এশিয়ার সর্বোচ্চ সম্মান। প্রতি বছর নানা ক্ষেত্রে নিঃস্বার্থ সামাজিক সেবার জন্য কোনও সংগঠন বা ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ১৯৫৮ সালে এই পুরস্কার পান বিনোবা ভাবে। এরপর বহু ভারতীয়ই এই পুরস্কার পেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক রবীশ কুমারই এদেশের শেষ ম্যাগসাইসাই পুরস্কার প্রাপক। তালিকায় সংযোজিত হয়েও তা প্রত্যাখ্যান করলেন শৈলজা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফের শৈলজাকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ফেরানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও তিনি বিধায়ক নন এই মুহূর্তে। কিন্তু রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্ব তাঁকেই ফের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছে, বলেই গুঞ্জন কেরলের রাজনৈতিক মহলে।