গোবিন্দ রায়: জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের ‘অপহরণ’ কাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। রাতে অপহরণের অভিযোগ পেয়েও পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, এতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করলেন তিনি। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
সরকারি তরফে পঞ্চায়েতের (Panchayat) বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে সর্বত্র ত্রিস্তরে বোর্ড গঠনের দিন বেঁধে দেওয়া হয়্ছে। মথুরাপুর ১-এর কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলের নিরিখে বোর্ড গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন বাম সমর্থিত নির্দল এবং সিপিএম জয়ী প্রার্থীরা। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের (GP) ১৫টি আসনের মধ্যে সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছে ৪টি আসন। বিজেপি ৬টি, সিপিএম ৩টি ও বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ২টি আসনে। ফলে বিরোধীদেরই বোর্ড গড়ার কথা।
[আরও পড়ুন: ৩১ জুলাই রাজ্যের সব বিজেপি সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি, ডাক জিএনএলএফকেও]
কিন্তু এই প্রক্রিয়াতেই বৃহস্পতিবার রাতে ৩ বিজেপি প্রার্থী ও বাম সমর্থিত এক নির্দল প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে কলকাতা পঞ্চসায়র এলাকা থেকে। অভিযোগ, পিয়ারলেস হাসপাতালের সামনে গাড়ি নিয়ে লোক এসে জয়ী সিপিএম ও বিজেপির চার প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যায়। রাত ১১টা নাগাদ এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমনকী সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ গা-ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Kanti Ganguly)। তাঁর অভিযোগের নিশানায় তৃণমূল। বোর্ডের দখল নিতে বিরোধী প্রার্থীদের দলে টানতে এই অপহরণ বলে মনে করছেন তিনি। অপহৃত প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আবেদন জানিয়ে তিনি এদিন হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।