বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ভোটের এক বছর বাকি। তার আগেই রাজ্য ধরে ধরে জোটসঙ্গী খোঁজার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম (CPM)। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে রাজ্যভিত্তিক বিজেপি (BJP) বিরোধী জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন সিপিএম নেতারা। সূত্রের খবর, গতবারের লোকসভার তুলনায় আসন বাড়াতে কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। তামিলনাড়ু, কর্নাটক, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য নিয়ে সিদ্ধান্ত হলেও থমকে গেল বাংলার প্রসঙ্গে উঠতেই।
বঙ্গের ক্ষেত্রে পার্টি কংগ্রেসের গৃহীত রাজনৈতিক রণকৌশলের লাইনেই পার্টি হাঁটবে, না কি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে তা নিয়ে নতুন করে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মত কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক সদস্যর। বিষয়টি নিয়ে আদৌ পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার রাতে বৈঠকে বসে সিপিএম পলিটব্যুরো। রাতের বৈঠকে বাংলা ছাড়াও তেলঙ্গানা, দিল্লি নিয়েও আলোচনা হয় বলে
সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠ’ আবদুল লতিফকে CBI তলব, নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ]
সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী জোটে থাকার সিদ্ধান্ত পার্টি কংগ্রেসেই নিয়েছে সিপিএম। বাংলার ক্ষেত্রে বিজেপি ও তৃণমূল (TMC) বিরোধী সব শক্তিকে এক মঞ্চে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু দু’ক্ষেত্রে দুই ভিন্ন অবস্থান কেন তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছিল। বিজেপি বিরোধিতার স্বার্থে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের হাত ধরলেও রাজ্যের ক্ষেত্রে লোকসভা ভোটে কী অবস্থান নেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। বৃহস্পতিবার থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির তিনদিনের বৈঠকে বিষয়টি ফের সামনে চলে আসে। অবস্থান স্পষ্ট করতে দফায় দফায় আলোচনা চলছে বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: জেলাশাসক খুনে সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন সাংসদের মুক্তিতে বিতর্ক বিহারে, বিক্ষোভ দেখে ‘অবাক’ নীতীশ]
তামিলনাড়ুতে পার্টি ডিএমকে, বিহারে নীতীশ কুমার ও লালুপ্রসাদের দল জেডিইউ এবং আরজেডি, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি, ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে হাত মেলাবে। অন্যান্য রাজ্যে যেখানে প্রার্থী দেওয়ার মতো অবস্থায় পার্টি নেই, সেখানে বিজেপি বিরোধী দলকে সমর্থন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। ত্রিপুরার দু’টি আসনের মধে্য একটি কংগ্রেসকে ছাড়া হবে। আর তামিলনাড়ুতে ডিএমকের কাছ থেকে আরও বেশি আসনের দাবি নিয়ে রাজ্য পার্টি মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।