সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে ১৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দিলেন জো রুট। দ্বিতীয় দিনে একটা সময় অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেট ফেলে দিয়ে ইংল্যান্ড লড়াইয়েও ফিরেছিল। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হল তারা। ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৩৩৪ রানে শেষ হল ইংল্যান্ডের ইনিংস। জবাবে পালটা বাজবল খেলে অস্ট্রেলিয়ার রান ৬ উইকেটে ৩৭৮। আপাতত ৪৪ রানে এগিয়ে স্টিভ স্মিথের দল।
গোলাপি বলের টেস্টে প্রথম দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৯ উইকেটে ৩২৫। দ্বিতীয় দিন স্কোর বোর্ডে মাত্র ৯ রান যোগ করার পরেই শেষ হয় ব্রিটিশ বাহিনীর প্রথম ইনিংস। ব্রেন্ডন ডগেটের বলে বাউন্ডারি লাইনে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে অনবদ্য ক্যাচ নেন লাবুশানে। যাব ২৩ বছর আগের স্মৃতি ফেরাল। অ্যাডিলেডে মাইকেল ভন বাউন্ডারি লাইনে তালুবন্দি হয়েছিলেন ম্যাকগ্রার হাতে। শেন ওয়ার্নের বল স্কোয়্যার লেগে উঁচিয়ে মেরেছিলেন ভন। খানিকটা দৌড়ে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে ক্যাচ ধরেছিলেন ম্যাকগ্রা। শুক্রবারও অনেকটা তেমনই ক্যাচ নিলেন লাবুশানে। তাঁর এই ক্যাচ অ্যাশেজের ইতিহাসে সেরা ক্যাচ কি না, তা নিয়ে চর্চা চলতে পারে। ৭৫ রানে ৬ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক।
জবাবে ঝড়ের গতিতে শুরু করেন দুই অজি ওপেনার ট্রাভিস হেড এবং জেক ওয়েদারল্ড। গত ম্যাচের হিরো হেড সাজঘরে ফিরলেন ৩৩ রানে। বড় রান না পেলেও শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন তিনি। হেডের দেখানো পথেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান ওয়েদারাল্ড এবং লাবুশানে। একেবারে ওয়ানডের ঢংয়ে খেলতে থাকেন তাঁরা। ওয়েদারাল্ড করেন ৭৮ বলে ৭২। লাবুশেনে ৭৮ বলে ৬৫। লাবুশানে একটি নজিরও গড়েন। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে দিন-রাতের টেস্টে হাজার রান করলেন তিনি।
অধিনায়ক স্মিথও ৬১ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন। গ্রিন করেন ৪৫। জশ ইংলিশ ২৩। তবে একটা সময় ৩২৯ রানে ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। সেখান থেকে অ্যালেক্স ক্যারে অপরাজিত ৬৪ রানে। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৭৩ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৭৮ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। অর্থাৎ ওভার পিছু ৫-এর উপর রান তুলেছে অজি বাহিনী। ক্রিজে রয়েছেন মাইকেল নেসের (১৫)। ইংল্যান্ডের হয়ে কার্স ৩টি এবং স্টোকস পেয়েছেন ২ উইকেট।
