সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুতেই যেন সুদিন ফিরছে না বাংলাদেশ ক্রিকেটে। পড়শি দেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী। তারা শেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল ২০২৪-এ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। সেখানে ০-৩ ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছিল টাইগারদের। এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্দরে নানান বদল ঘটেছে। দু'বার পরিবর্তন হয়েছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। আর এবার ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল নাজমুল হোসেন শান্তকে।
তাঁর বদলে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে মেহেদি হাসান মিরাজকে। এতদিন এহেন মিরাজ ছিলেন সহ-অধিনায়ক। শান্তর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। এই প্রসঙ্গে বিসিবি কর্তা নাজমুল আবেদিন বলেন, "এক বছরের জন্য নেতৃত্বে আনা হয়েছে মিরাজকে। তিনি দক্ষ একজন অলরাউন্ডার। তাছাড়াও তিনি ধারাবাহিকও। মিরাজের মধ্যে দলকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার সমস্ত গুণাবলি রয়েছে। ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে তিনিই সেরা পছন্দ।"
শান্তকে নিয়ে তাঁর সংযোজন, "নাজমুল হোসেনকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। তিনি খুবই ইতিবাচক একজন অধিনায়ক। নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছেন তিনি। তাঁর ব্যাটিং আমাদের দলের কাছে বড় সম্পদ।" উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের নির্বাচক কমিটি শান্তকে সকল ফরম্যাটের জন্য অধিনায়ক নির্বাচিত করে। তবে এখন আর তাঁকে ওয়ানডে ক্রিকেটে অধিনায়ক ভাবা হচ্ছে না, তা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার কারণেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বাংলাদেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত ১০৫টি ওয়ানডে খেলেছেন মেহেদি হাসান। করেছেন ১৬১৭ রান। ১১০টি উইকেটও রয়েছে তাঁর নামে। নেতৃত্ব পেয়ে আপ্লুত অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার বলেন, "আমার কাছে এটা অনেক বড় সম্মানের। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই থাকে। আমার উপর আস্থা রাখার জন্য বিসিবি'কে ধন্যবাদ। এটা আমার পরিবারের কাছেও একটা গর্বের মুহূর্তে। আমি দলগত পারফরম্যান্সে বিশ্বাস করি। আশা করি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবে দল।" এখন দেখার, নেতৃত্ব বদলেও কাজের কাজ হয় কিনা বাংলাদেশ দলের।
