সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাস তৈরি করলেন মুশফিকুর রহিম (Mushfiqur Rahim)। ১০০তম টেস্ট খেলতে নেমেছেন এই বাংলাদেশি ক্রিকেটার। আর শততম টেস্ট খেলতে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নজির গড়লেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে একাদশ ক্রিকেটার হিসাবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিকুর।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দিনের খেলা শেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৯৯ রানে। দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরি পেতে বেশি বেগ পেতে হয়নি মুশফিককে। জর্ডান নিলের চতুর্থ বলে সিঙ্গেল রান নিয়ে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসাবে নজির গড়ে শততম টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেননি তিনি। ২১৪ বলে ১০৬ রানে তিনি সাজঘরে ফেরেন। মুশফিকুরের ধৈর্যশীল ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার।
১৯৬৮ সালে প্রথমবার শততম টেস্টে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন ইংল্যান্ডের কলিন কাউড্রে। এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই নজির গড়েছিলেন তিনি। ১৯৮৯-এ ভারতের বিপক্ষে জাভেদ মিয়াঁদাদও একই কাজ করে দেখান। এমন রেকর্ড রয়েছে গর্ডন গ্রিনিজ, অ্যালেক স্টুয়ার্ট, ইনজামাম-উল-হক, রিকি পন্টিং, গ্রেম স্মিথ, হাশিম আমলা, জো রুট, ডেভিড ওয়ার্নার এবং মুশফিকুর রহিম। এর মধ্যে একমাত্র পন্টিংই শততম টেস্টের দুই ইনিংসে শতরান করেছিলেন। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুই ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ ছিল ১২০ এবং অপরাজিত ১৪৩।
মুশফিকুরকে ১০০তম টেস্টের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন শাকিব আল হাসান। সোশাল মিডিয়ায় দু'জনের একসঙ্গে টেস্ট খেলার ছবি পোস্ট করেছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। সেখানে মুশফিকুরের উদ্দেশে শাকিব লেখেন, ‘লর্ডসে তোমার খেলা প্রথম টেস্ট ম্যাচ এখনও মনে আছে। বিকেএসপির ঘরে বসা তোমার খেলা প্রতিটা বল দেখেছি। ঠিক সেদিন থেকে তুমি বাংলাদেশের অসংখ্য ক্রিকেটারের অনুপ্রেরণা। তুমি অনেক দিন ধরেই খেলেছ এবং সব সময় নিজের সেরাটা দিয়েছ। বয়সভিত্তিক দলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় থেকেই আমি তোমাকে আমার অধিনায়ক হিসেবে দেখেছি। আর ভবিষ্যতে যতদিন খেলব, তুমিই আমার অধিনায়ক থাকবে।’ ৩৮ বছর বয়সি মুশফিকুরের অভিষেক হয়েছিল ২০০৫ সালে। উল্লেখ্য, মুশফিকুর তো বটেই, সেঞ্চুরি করেছেন লিটন দাসও (১০৬)। এই দুই ইনিংসে ভর করে বড় রান গড়ার পথে বাংলাদেশ।
