সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের আগস্টে ড্রিম ইলেভেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে মূল স্পনসরের দায়িত্ব থেকে তারা সরে গেলেও আর্থিকভাবে কোনও ক্ষতি হয়নি বিসিসিআইয়ের। বরং অ্যাডিডাস এবং অ্যাপোলো টায়ার্সের সঙ্গে দু'টি পৃথক চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের রোজগারের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
এক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুসারে, বিসিসিআইয়ের সঙ্গে অ্যাডিডাসের জার্সি নিয়ে চুক্তি হয়েছে আড়াই বছর। একই সঙ্গে ড্রিম ইলেভেনের জায়গায় মূল স্পনসর হিসাবে যোগ দিয়েছে অ্যাপোলো টায়ার্স। এতে লাভের পরিমাণ কমেনি। উল্লেখ্য, গত আগস্টে ৩৫৮ কোটি টাকার চুক্তি ভেঙে সরে গিয়েছিল ড্রিম ইলেভেন। বাদল অধিবেশনে পাশ হওয়া ‘দ্য প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ অনলাইন গেমিং অ্যাক্ট’-এর সুবাদে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রিয়্যাল টাইম গেমিং। ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতেই সরে গিয়েছিল ড্রিম ইলেভেন।
বুধবার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের এক বৈঠক ছিল। সেখানে প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ প্রভতেজ সিংহ ভাটিয়া হিসাব দিয়েছেন। সেখানেই জানা গিয়েছে, বিসিসিআইয়ের লভ্যাংশ ৭,৯৮৮ কোটি থেকে বেড়ে ১১,৩৪৬ হয়েছে। অর্থাৎ লাভের পরিমাণ ৩,৩৫৮ কোটি টাকা। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে বিসিসিআইয়ের আনুমানিক আয় ধরা হচ্ছে ৮,৯৬৩ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে আইসিসি'র থেকে ১৫০০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ জয় শাহের আইসিসি ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় সেখান থেকে পাওয়া ভারতের লাভের পরিমাণ কমে গিয়েছে। ভারতীয় বোর্ড ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ক্রিকেটের পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ হবে ৫০০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, আচমকা চুক্তি থেকে সরে গেলে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। তবে ড্রিম ইলেভেনের জন্য সেই নিয়ম প্রযোজ্য হয়নি। কারণ, বোর্ডের সঙ্গে তাদের চুক্তিতে ছিল এক বিশেষ শর্ত। যেখানে বলা হয়েছে, যদি কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও আইনের জন্য কোম্পানির মূল ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে কোনও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না। কেন্দ্রের নতুন আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনওরকম অনলাইন অ্যাপে রোজগার করা টাকা বা ওই ধরনের কোনও অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে করা যাবে না। অর্থাৎ অস্বীকৃত অ্যাপে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে না। রিয়াল মানি অ্যাপ পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। তবে ড্রিম ইলেভেন সরে গেলেও বিসিসিআইয়ের আয় কমেনি। বরং বেড়েছে।
