সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিম ইন্ডিয়াকে যে এভাবে ম্যাচ হারতে হবে, তা প্রথম তিন দিনের খেলা দেখে বোঝা যায়নি। লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা, ক্যাচ মিস, নির্বিষ বোলিং ডুবিয়েছে ভারতকে। ফলস্বরূপ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৫ উইকেটে হার স্বীকার করতে টিম ইন্ডিয়াকে। ম্যাচ হেরে লজ্জার নজির গড়েছেন শুভমানরা। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে এমন পরাজয় দ্বিতীয়টি নেই।
হেডিংলিতে দু'টি ইনিংস মিলিয়ে পাঁচটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। সেঞ্চুরি করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিল, ঋষভ পন্থ (২টি), কেএল রাহুল। তা সত্ত্বেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি ভারত। ১৯৫৫ সালে ক্যারিবিয়ান সফরে গিয়ে একটি টেস্টে পাঁচ অজি ব্যাটার সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেবার এক ইনিংসেই এই কীর্তি গড়ে অস্টেলিয়া। কলিন ম্যাকডোনাল্ড, নীল হার্ভে, কিথ মিলার, রন আর্চার, রিচি বেনোর সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৮ উইকেটে ৭৫৮।
টেস্টের ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো পাঁচ ভারতীয় ব্যাটার শতরান করার কৃতিত্ব দেখালেন। তাছাড়াও দ্বিতীয় সফরকারী দল হিসেবে টিম ইন্ডিয়া এমন কীর্তি অর্জন করেছে টিম ইন্ডিয়া। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এত সবের পরেও ম্যাচ জিততে পারেনি ভারত। অন্যদিকে, ভারত দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮৩৫ রান করেও জয়ের মুখ দেখেনি। টেস্টের ইতিহাসে চতুর্থ দল হিসেবে এত রান করেও হারতে হল ভারতকে।
অথচ ম্যাচের অনেকটা সময় রাশ নিজেদের হাতে রেখেছিল টিম ইন্ডিয়া। যদিও ভারতের দেওয়া ৩৭১ রানের লক্ষ্য ৮২ ওভারে তাড়া করে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। এর ফলে টেস্টের শেষ দিনে সবচেয়ে বেশি রান করে জয়ী দলের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকল ভারত। উল্লেখ্য, পঞ্চম দিন ৩৫০ রান তাড়া করেছে ইংল্যান্ড। তালিকায় শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ দিন অস্ট্রেলিয়া ৪০৪ রান তুলে জয়ী হয়েছিল। এক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৪৫ রান করে জিতে নেয় উইন্ডিজ। তাছাড়াও রান চেজ করে জেতার নিরিখে হেডিংলির জয় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেরা। এর আগে ২০২২ সালে ভারতের বিরুদ্ধেই বার্মিংহ্যাম টেস্টে ৩৭৮ রান তাড়া করে জয়ী হয়েছিল ইংল্যান্ড।
