সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সংসদের বাদল অধিবেশনে পাশ হয়েছে ক্রীড়া বিল। পরে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে যা জাতীয় ক্রীড়া আইনে পরিণত হয়। এই আইনের মাধ্যমে বিসিসিআই বা এআইএফএফের মতো ক্রীড়া সংস্থা কি সরাসরি কেন্দ্র সরকারের অধীনে আসবে? সেই নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলেন কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। তার জবাবে কী বললেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য?
প্রশ্ন ছিল, সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে কেন্দ্র সরকার ওই সংস্থাগুলোকে নিজের আওতায় যদি আনে, তাহলে কীভাবে? আর না হলে কেন আনা হবে না? আরও প্রশ্ন তোলা হয়, ভবিষ্যতে কি এই ধরনের বড় সংস্থাগুলোর অডিট পরিচালনার ক্ষেত্রেও কি হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্র?
যার জবাবে ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানান, বিসিসিআই কোনও ভাবেই জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের আওতায় আসে না। এই ক্রীড়া নীতি আসলে ফেডারেশনের আওতায় থাকা সংস্থাগুলো মানতে হবে। নতুন ক্রীড়া বিলের অধীনে আসা মানে বিসিসিআই জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের অধীনেও আসবে। সেক্ষেত্রে ক্রীড়ামন্ত্রকের সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে বোর্ডকে। এছাড়া যে সংস্থাগুলো বছরে ১ কোটি টাকার বেশি অনুদান পায়, সেগুলোর ক্যাগ অডিট করে। কিন্তু বিসিসিআই আর্থিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর নির্ভরশীল নয়। ফলে তার ক্ষেত্রেও ক্যাগ অডিট প্রযোজ্য নয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই ক্রীড়া বিল নিয়ে চর্চা ছিল। গত ২৩ জুলাই, তা লোকসভায় প্রথম পেশ করা হয়। পরে ১১ আগস্ট তা লোকসভায় পাশ হয়। ঘণ্টা দুয়েকের আলোচনার পর রাজ্যসভাতেও বিলটি পাশ হয়। ক্রীড়া বিলের অধীনে বিসিসিআইও থাকছে। তবে তাদেরকে আরটিআইয়ের অধীনে পড়তে হবে না।
