সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপের দল থেকে শুভমান গিলের বাদ পড়া নিয়ে বিস্তর কথাবার্তা হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। অনেকেই এই সিদ্ধান্তে চমকে গিয়েছেন। সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তনীরা স্তম্ভিত। কিন্তু দলের সহ-অধিনায়ক তথা নিজের প্রিয়পাত্রকে বাদ দেওয়ার নেপথ্যে যিনি, সেই গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) এখনই এ নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। কেন বাদ দেওয়া হল গিলকে? এ প্রশ্নে মুখে কুলুপ এটেই রয়েছেন তিনি।
শনিবারই বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখা হয়নি এত দিনের সহ-অধিনায়ক শুভমানকে। সহ-অধিনায়ক হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে অক্ষর প্যাটেলকে। কেন বাদ দেওয়া হল গিলকে? বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের পর শনিবারই দিল্লিতে ফেরেন গম্ভীর। কয়েক দিন বাড়িতে থেকে যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁকে পেয়ে চেপে ধরেন সাংবাদিকরা। কিন্তু বারবার গিল নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোনও উত্তর দেননি কোচ। শুধু মৃদু হেসে তিনি চলে যান গাড়ির কাছে।
শনিবার দল ঘোষণা হলেও অনেক আগেই গিলের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-টোয়েন্টির সময়। যে ম্যাচ দূষণজনিত ঘন কুয়াশার কারণে বাতিল হয়ে গিয়েছিল যোগীরাজ্যে। পায়ের পাতায় চোট পেয়ে লখনউয়ে সেই ম্যাচ খেলতে পারতেন না গিল। কিন্তু শনিবার আহমেদাবাদে তাঁর নামার মতো অবস্থা ছিল। তাঁর খেলার ইচ্ছেও ছিল। কিন্তু তার পরেও খেলানো হয়নি গিলকে। সঞ্জু স্যামসনকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়। খবর যা, তাতে না জাতীয় কোচ গৌতম গম্ভীর, না ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব-গিলকে দু’জনের একজনও জানাননি যে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়তে চলেছেন!
শনিবার দল নির্বাচনী বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বলে যান, “গিল যথেষ্ট দক্ষ ব্যাটার। কিন্তু ফর্মটা ওর ভালো যাচ্ছে না এই মুহূর্তে। আর টিমের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল কম্বিনেশন।” সে তো সরকারি কথা। বাস্তব হল, ‘গুরু’ গম্ভীরের আজব সংসারে কখন যে কী ঘটে, কেউ বলতে পারে না। কম্বিনেশনই যদি এত গুরুত্বপূর্ণ হবে, তা হলে খামোখা গিলকে আনা কেন হয়েছিল সঞ্জুকে ওপেনিং থেকে সরিয়ে? সবই তো ঠিকঠাক চলছিল সে সময়। সঞ্জু যথেষ্ট ভালো খেলছিলেন, রানের মধ্যে ছিলেন। হঠাৎ দুম করে তাঁর ব্যাটিং পজিশন বদলে দেওয়া হল, গিলকে আনতে গিয়ে! আসলে মুশকিল হল, ধারাবাহিকতা বলে কোনও বস্তুই নেই কোচ গম্ভীরের সংসারে।
