সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএল নিলামে (IPL Auction 2026) উড়েছে ২১৫ কোটি টাকা। বিক্রি হয়েছেন ৭৭ জন প্লেয়ার। অনেক 'অখ্যাত' ক্রিকেটারই অপ্রত্যাশিত দাম পেয়েছেন। আবার অনেক মহাতারকাই নিলামে অবিক্রীত রইলেন। কেন জনি বেয়ারস্টো, তাসকিন আহমেদ বা জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুর্কের মতো তারকাদের গায়ে 'আনসোল্ড' তকমা?
যেমন ডেভন কনওয়ে। চেন্নাই সুপার কিংসের হলুদ জার্সি ছাড়া যেন কিউয়ি তারকাকে মানায় না। ১৪০ স্ট্রাইক রেটে হাজারের উপর রান করেছেন। কিন্তু ২ কোটি টাকা ন্যূনতম মূল্যে তাঁকে নিয়ে কেউ আগ্রহ দেখায়নি। একই অবস্থা জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুর্কের। অস্ট্রেলিয়ার উঠতি প্রতিভা গত বছর দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ওপেন করেছিলেন। এবার 'আনসোল্ড'। আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টোও দল পাননি।
'আনসোল্ড' তালিকায় নাম জুড়বে মুজিব উর রহমান, মাহিশ থিকসানা, আলজারি জোসেফ, ড্যারিল মিচেল বা গাস অ্যাটকিনসনের। কিংবা রয়েছেন স্টিভ স্মিথ, রহমানুল্লা গুরবাজরা। ভারতীয়দের মধ্যে যেমন উল্লেখযোগ্য নাম দীপক হুড্ডা। এঁদের মধ্যে অনেকেই আইপিএলে ভালো খেলেছেন। আবার অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে যেমন শুধুমাত্র মুস্তাফিজুর রহমান সুযোগ পেয়েছেন। তাঁকে ৯ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু তাসকিন আহমেদ সুযোগ পেলেন না। অন্যদিকে বাংলাদেশের শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, রকিবুল হাসান, নাহিদ রানা ও তানজিম সাকিবের নাম ডাকাই হয়নি।
এবারের মিনি নিলামে বরং অনেক ভারতের তরুণ তুর্কিদের পিছনে টাকা ঢেলেছে দলগুলো। যাঁদের দীর্ঘদিন পর্যন্ত খেলাতে পারবে। বিদেশিদের দিয়ে যেটা সম্ভব নয়। অন্যদিকে অবিক্রীত তারকাদের মধ্যে অধিকাংশই ওপেনার। যে জায়গাটা আগেই ভরে ফেলেছে দলগুলো। তাছাড়া বেয়ারস্টোর অফ ফর্ম বা কনওয়ের চোট প্রবণতার কথাও মাথায় রেখেছে দলগুলো। বাংলাদেশি প্লেয়ারদের অনেক সময়ই পুরো আইপিএলে পাওয়া যায় না। তবে কেউ চোট পেলে অবিক্রীতরা সুযোগ পেতেই পারেন।
