সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার কাছে পর্যুদস্ত হওয়া। অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা। সেখান থেকে ইংল্যান্ড সিরিজে ড্র। 'নতুন ভারত'-এর হিসাবে অবশ্যই সাফল্য। কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে প্রাপ্য। কিন্তু শুভমান গিল, মহম্মদ সিরাজের বিক্রমের পরেও কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে কোচ গৌতম গম্ভীরের জন্য।
গম্ভীরের কোচিংয়ে ১৫টি টেস্টের মধ্যে ৫টা জিতেছে ভারত। ওভালে হারলে গম্ভীরের উপর চাপ বাড়ত। গিল তরুণ অধিনায়ক। তিনি শেখার সুযোগ পাবেন, গম্ভীর কি শিখবেন? সিনিয়র প্লেয়ারদের 'বিতাড়ন' করা হয়েছে। এই সিরিজে হারলে কিন্তু রোহিত-বিরাটদের উপর ব্লেম গেমের সুযোগ ছিল না। অনেকে বলতেই পারেন, ভারত তো কামব্যাক করে সিরিজ ড্র করল। কিন্তু এটাও ঠিক, গম্ভীর কিছু সিদ্ধান্ত ঠিকঠাক নিলে ভারত এই সিরিজটা জিততেও পারত।
এটা তো স্পষ্ট, বর্তমান দলটা গম্ভীরের অঙ্গুলিহেলনে চলে। সিরিজের ফলাফল যাই বলুক, গম্ভীর ভুল শোধরাচ্ছেন না। দল নির্বাচনে সেটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। সাই সুদর্শন, করুণ নায়ার, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, এই তিনজনকে নিয়ে কী করবেন, সেটা সম্ভবত তিনি নিজেও জানেন না। তিন নম্বর জায়গাটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কুলদীপ যাদবকে নিয়েও একই বক্তব্য। এই পরীক্ষানিরীক্ষাগুলো আগে করে আসতে হয়। গম্ভীরের কাজে হোমওয়ার্কটা চোখেই পড়ছে না। এই জিগস পাজল খেলা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে চলতে পারে, ১৪০ কোটি জনতার দলে নয়।
ম্যাঞ্চেস্টারে অর্শদীপ সিংকে সুযোগ না দিয়ে নামানো হয় অংশুল কাম্বোজকে। ওই টেস্টে বোলিং সঙ্গ দিলে ছবিটা অন্যরকম হতে পারত। সেই সূত্রে প্রশ্ন ওঠে বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলের ভূমিকা নিয়ে। সিরিজের পর নিশ্চয়ই এই সমস্যাগুলোর উত্তর খুঁজতে বসবে বিসিসিআই। মাঠে গিল বোলিং পরিবর্তনের সময় অনেক ভুলত্রুটি করেছেন। তিনি হয়তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শুধরে নিতে পারবেন। কিন্তু তারও আগে গিলকে নিজের 'অধিনায়ক' পরিচয় করতে হবে।
এরপর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই জিতবে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু প্রোটিয়াদের কাছে হারলে বা ড্র করলেও কিন্তু সমস্যা তৈরি হতে পারে গম্ভীরের জন্য।
