ভারত: ২৪৯/৯ (শ্রেয়স-৭৯, হার্দিক-৪৫, হেনরি- ৪২/৫)
নিউজিল্যান্ড: ২০৫/১০ (উইলিয়ামসন-৮১, বরুণ- ৪২/৫)
৪৪ রানে জয়ী ভারত

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy 2025) পাকিস্তান আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফেভারিট হিসেবেই নেমেছিল ভারত। প্রত্যাশা মতোই হয়েছে ফল। তবে আসল পরীক্ষা ছিল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ভারতের ঘরের মাটিতে যারা টেস্টে ভারতকেই পর্যুদস্ত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কি ওয়ানডে ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারবে টিম ইন্ডিয়া? পারবে শীর্ষে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করতে? উত্তরটা হল হ্যাঁ। টস না জিতলেও, স্কোরবোর্ডে পাহাড় প্রমাণ রান না থাকলেও রোহিত শর্মারা পারলেন জয়ের হ্যাটট্রিক করতে। আবারও বোঝালেন, কোনও একজনের উপর নির্ভরশীল নয় দল। টিম গেমেই সম্ভব হল কিউয়ি বধ।
এদিন লড়াইটা মূলত ছিল ভারতের ব্যাটিং বনাম কিউয়ি স্পিনের। তবে যাবতীয় সমীকরণ বদলে দিলেন ম্যাথিউ হেনরি। তাঁর বিধ্বংসী পেসে রীতিমতো বেসামাল হয়ে পড়ে ভারতীয় টপ অর্ডার। জেমিসনের বলে শুরুতেই আউট হন রোহিত (১৫)। এরপর গিল ও কোহলিকে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে জোর ধাক্কা দেন হেনরি। হাল ধরেন শ্রেয়স আইয়ার এবং অক্ষর প্যাটেল। তাঁদের পার্টনারশিপে ঘুরে দাঁড়ায় দল। চাপের মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে ৭৯ রান করেন শ্রেয়স। হাঁকান ৪টে চার ও জোড়া ছক্কা। আর ভারতকে লড়াইয়ের মতো জায়গায় পৌঁছে দেয় হার্দিক পাণ্ডিয়ার লড়াকু ইনিংস। তবে এমন পরিস্থিতিতেও কেন ব্যাটিং অর্ডারে অক্ষরকে আগে নামিয়ে কেএল রাহুলকে পরে আনা হচ্ছে, টিম ম্যানেজমেন্টের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও অক্ষর স্কোরবোর্ডে ৪২ রান যোগ করায় এই আলোচনা হয়তো বিশেষ গায়ে মাখবেন না রোহিতরা।
রোহিত-বিরাট-গিলদের ব্যর্থতার দিনে ভরসা দিল শ্রেয়স, অক্ষর ও হার্দিকের চওড়া ব্যাট। আর এখানেই দল বুঝিয়ে দিল, বিশ্বের এক নম্বর ভারতকে রোখা সম্ভব নয়। তারা অপ্রতিরোধ্যই। বোলিং বিভাগের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই রকম। প্রথম দুই ম্যাচে বেঞ্চে বসে থাকা স্পিনারই এদিন হয়ে উঠলেন উইলিয়ামসনদের ত্রাস। তিনি বরুণ চক্রবর্তী। হর্ষিত রানার পরিবর্তে এদিন প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েই নিজের সেরাটা উজার করে দিলেন। তাঁর স্পিনের ফাঁদেই কুপোকাত কিউয়িরা। ২৫০ রানের লক্ষ্য নিয়ে নেমে ২০৫ রানেই গুটিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
তবে এক অগ্নিপরীক্ষা শেষ হতেই আরেক কঠিন পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে রোহিতদের। গ্রুপ শীর্ষে থেকে শেষ করায় শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে যাদের কাছে পরাস্ত হওয়ার ক্ষত এখনও দগদগে। যে কোনও মুহূর্তে খেলা ঘুরিয়ে চমকে দিতে পারে অজি বাহিনী। ফলে ফাইনালে যাওয়ার পথটা যে একেবারেই সহজ নয়, তা ভালোই জানে টিম ইন্ডিয়া। তাই পরপর জয় পেলেও আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই রোহিতদের। বরং মঙ্গলবার ট্র্যাভিস হেডদের বধের স্ট্র্যাটেজি সাজানোই এখন পাখির চোখ গম্ভীরের। কারণ এই ম্যাচ তো ঠিক করে দেবে ভারতীয় দলে তাঁর ভবিষ্যৎও। অন্য সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার।