সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোহলি সেঞ্চুরি পেলেই ভারত জেতে। এই কথাটা একেবারে মিথে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রায়পুরে অন্য ছবি দেখা গেল। একাধিক নজির গড়ে বিরাট সেঞ্চুরি করলেন বটে। কিন্তু চোখধাঁধানো সেই ইনিংস জলে গেল। প্রায় ৭ বছর পর বিরাটের সেঞ্চুরিতে জয় পেল না টিম ইন্ডিয়া।
রাঁচিতে যেখানে শেষ করেছিলেন, ঠিক সেখান থেকে রায়পুরেও শুরু করেন বিরাট। ৫৩তম সেঞ্চুরি হাঁকান। তিনি এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮৪ সেঞ্চুরির কিং। ৯৩ বলে ১০২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দিলেও দল জয় পায়নি। এমন ঘটনা ঘটল পাক্কা ৬ বছর ৯ মাস পর। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে রাঁচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কোহলি সেঞ্চুরি পেলেও হেরে গিয়েছিল ভারত। সেই ম্যাচে কোহলি ৯৫ বলে ১২৩ রান করেছিলেন। অর্থাৎ ২,৪৬২ পর রায়পুরে বিরাটের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও হেরে গেল ভারত।
২০১৭ সালের অক্টোবরেও এমন হয়েছিল। সেদিন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের বিরুদ্ধে ছিল নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডেতে ৫৩ সেঞ্চুরি রয়েছে কোহলির। এরমধ্যে ৮টিতে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। তবে ২০২৫-এ অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন তিনি। ১২ ইনিংসে ৫৮.৬০ গড়ে ৫৮৬ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ৯২.৭২। তিনটি সেঞ্চুরি এবং তিনটি হাফসেঞ্চুরিও রয়েছে। রাঁচিতে ১৩৫ রানের দুরন্ত ইনিংসের পর আইসিসি'র ক্রমতালিকায় চার নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। মগডালে থাকা রোহিত শর্মার চেয়ে মাত্র ৩২ পয়েন্ট পিছিয়ে তিনি।
উল্লেখ্য, সবচেয়ে বেশিবার টানা দুই ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি (১১) হাঁকিয়েছেন বিরাট। বিশ্বের আর কোনও ব্যাটারের এমন নজির নেই। ৬টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দ্বিতীয় স্থানে প্রোটিয়া তারকা এবি ডিভিলিয়ার্স। আরও একটি রেকর্ড হল, বিভিন্ন ভেন্যুতে যুগ্মভাবে সর্বাধিক ওয়ানডে সেঞ্চুরির (৩৪*) রেকর্ডও এখন তাঁর নামে। শচীনের নামেও একই নজির। এরপর রয়েছেন রোহিত শর্মা (২৬), হাশিম আমলা (২১), এবি ডিভিলিয়ার্স (২১)। এমন দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরির পর চেনা ভঙ্গিতে সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন বিরাট। যা প্রাণ সঞ্চারিত করে গোটা স্টেডিয়ামে। দর্শকদের চিৎকারে তখন কান পাতা দায়। বলা বাহুল্যই যে, বিরাট এবং রুতুরাজের ইনিংসের সৌজন্যে ভারত ৩৫৮ রান করে ভারত। সেই ম্যাচ চার বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জিতে সিরিজের সমতায় ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা।
