সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচকরা নাকি জানেনই না মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) খবর। মহম্মদ শামি কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে বরবরই আগুন ঝরান। রনজি ট্রফি হোক বা সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি- সব টুর্নামেন্টেই বাংলার ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া তারকা পেসার। বৃহস্পতিবার সার্ভিসেসের বিরুদ্ধেও জ্বলে উঠলেন শামি। চার উইকেট তুলে নিলেন মাত্র ১৩ রান দিয়ে।
'দুর্বল' সার্ভিসেসকে গুঁড়িয়ে দিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে আসার হাতছানি ছিল বাংলার সামনে। প্রত্যেক গ্রুপ থেকে দু’টো দল নকআউটে যাবে। প্রথম দুইয়ে থাকার জন্য এখন প্রত্যেকটা ম্যাচে জিততে হবে, এমনই কঠিন অঙ্ক রয়েছে অভিমন্যু ঈশ্বরণদের সামনে। কিন্তু বৃহস্পতিবার চার ম্যাচে মাত্র একটা জয় পাওয়া সার্ভিসেসই দানবীয় আকার ধারণ করেছিল বাংলার বিরুদ্ধে। মাত্র ৯ ওভারে ১০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় সার্ভিসেস। মুকেশ কুমার বেধড়ক মার খাচ্ছেন।
একদিকে মুকেশের মতো পেসার মার খেলেও, শামির পারফরম্যান্স একেবারে বিপরীত। প্রথম স্পেলে ২ ওভার বল করে দিয়েছিলেন মাত্র ৬ রান। সঙ্গে তুলে নেন দুই ওপেনারের উইকেট। ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান গৌরব কোচার। তৃতীয় ওভারে শামির শিকার অপর ওপেনার রবি চৌহান। ৯ বলে ২৬ রান করে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই ভয়ানক রবিকে ফেরান তারকা পেসার।
৩৫ রানে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও সার্ভিসেস দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। ৫ ওভারে ৬৭ রানের জুটি গড়েন মোহিত এবং বিনীত। তাঁরা প্যাভিলিয়নে ফিরতেই ধস নামে সার্ভিসেস ব্যাটিং লাইন আপে। তিন উইকেট তুলে নেন আকাশ দীপ। দুই উইকেট ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়ের। একটি উইকেট পেয়েছেন প্রদীপ্ত প্রামাণিকও। দ্বিতীয় স্পেলে এসেও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন শামি। ১.২ ওভার বল করে সাত রান দিয়ে আরও দুই উইকেট তুলে নেন। শামির হাতেই শেষ হল সার্ভিসেস ইনিংস। তবে শামি প্রমাণ করে দিলেন, তিনি শেষ হয়ে যাননি। সব ফরম্যাটেই এখনও কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেন।
