সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে শুরু হল আইপিএলের দ্বিতীয় দফা। হিসেব মতো শনিবারই শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির জন্য আরসিবি-কেকেআর ম্যাচ ভেস্তে যায়। রবিবার ডবল হেডারের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি রাজস্থান-পাঞ্জাব। সেখানে দেদার বাজছে ডিজে। চলছে চিয়ারলিডারদের নাচও। অর্থাৎ, গাভাসকরের অনুরোধকে কানেই তোলেনি বোর্ড।
আসলে গাভাসকর চেয়েছিলেন, দ্বিতীয় দফার আইপিএল হোক আড়ম্বরহীন। পহেলগাঁও জঙ্গিহানা ও তার পরবর্তী অপারেশন সিঁদুরের ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে আইপিএলে চিয়ারলিডারদের নাচ ও ডিজেদের উল্লাস বন্ধ থাকুক। তাতে সাধারণ মানুষের আবেগকে সম্মান জানানো যাবে। এমনকী শোনা গিয়েছিল, বোর্ডও ভাবছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আইপিএলে বিশেষ জাঁকজমক না করাই ভালো। সেক্ষেত্রে হয়তো গাভাসকরের দাবি মতোই চিয়ারলিডার এবং ডিজে বাদ দিয়ে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন হতে পারে।
কিন্তু কোথায় কী! রাজস্থানের সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে চলল পুরনো পদ্ধতিই। দিব্যি চার-ছয় মারলে বা উইকেট পড়লে তারস্বরে ডিজে বাজছে। সুযোগ পেলে চিয়ারলিডাররাও নাচছেন। অথচ রাজস্থান-পাঞ্জাব ম্যাচের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। সম্মান জানানো হয় সেনাবাহিনীকেও। তারপরই ডিজে-চিয়ারলিডারদের গান-নাচেই ফিরল আইপিএল।
একই ঘটনা ঘটেছিল শনিবার আরসিবি-কেকেআর ম্যাচেও। ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলেও অনুশীলনে নেমেছিলেন কোহলি। তখন স্টেডিয়ামে খুবই জোরে আরসিবি’র থিম-সং বাজছিল। যা শুনে একেবারে তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠেন কোহলি। রীতিমতো ধমক দিয়ে গান বন্ধ করতে বলেন তিনি। আসলে এত জোরে গান বাজলে তো মনঃসংযোগের অভাব ঘটবে। সেই কারণেই তাঁর ‘ধমকে’ স্টেডিয়ামের সাউন্ড সিস্টেম কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয়।
