সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝড় উঠল ইডেনে। না, প্রকৃতির কুদৃষ্টি আর পড়েনি। বরং ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন অজিঙ্ক রাহানে। আর সেটা থেমে গেল ক্রুণালের ঘূর্ণিতে। যেভাবে নাইটরা শুরু করেছিল, তাতে একসময় মনে হচ্ছিল অনায়াসে দুশোর উপর রান উঠে যাবে। কিন্তু ৮ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত সেটা থামল মাত্র ১৭৪ রানে। একের পর এক ব্যর্থ ভেঙ্কটেশ, রিঙ্কু, রাসেলরা।

টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক রজত পাতিদার। শুরুতেই ধাক্কা খায় নাইটরা। মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান কুইন্টন ডি'কক। হ্যাজলউডদের দাপটে ঝড় তুলতে পারছিলেন না সুনীল নারিনও। কিন্তু সমস্ত হিসেব-নিকেশ বদলে দিলেন অজিঙ্ক রাহানে। তাঁর ব্যাট থেকে ধামাকা শুরু হতেই গর্জে উঠল বেগুনি-সোনালি আলোর ইডেন। একের পর এক ছয় আছড়ে পড়ল স্টেডিয়ামে। অন্যদিকে তাণ্ডব শুরু করলেন নারিনও। দুজনের দাপটে নয় ওভারেই একশো রান উঠে যায় নাইটদের স্কোরবোর্ডে।
সেখান থেকে পাশার দান বদলে দিলেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। এবারই তাঁকে নিলাম থেকে কিনেছে আরসিবি। স্পিন বোলিং বরাবরই দুর্বলতা বেঙ্গালুরুর। এদিন ক্রুণালের পারফরম্যান্স দেখে স্বস্তি পেতে পারে তারা। প্রথমে রশিখ দার ফেরালেন নারিনকে (৪৪)। হাফসেঞ্চুরি করার পরই ক্রুণালের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন রাহানে। তারপর মিডল অর্ডার কার্যত ধসে গেল। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও রিঙ্কু, দুজনকেই বোল্ড করলেন ক্রুণাল। 'মাসল পাওয়ার' দেখানো হল না রাসেলের। প্রাক্তন নাইট স্পিনার সুয়াশ শর্মার বলে আউট হলেন রাসেল। ১০৭ রানে ১ উইকেট থেকে ১৫০ রানে ৬ উইকেট হয়ে যায় নাইটরা।
সেখান থেকে অবশ্য পালটা আঘাত শুরু করলেন তরুণ তুর্কি অঙ্গকৃষ রঘুবংশী। বুঝিয়ে দিলেন কেন তাঁকে ৩ কোটি টাকা দিয়ে দলে ফিরিয়ে এনেছে নাইটরা। ২২ বলে ৩০ রান করে যশ দয়ালের বলে ফিরে যান তিনি। তবে রান পেলেন না রমণদীপ। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৭৪ রানে থেমে যায় নাইট রাইডার্সের ইনিংস। ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট ক্রুণালের। দুটি শিকার হ্যাজলউডের। একটি করে উইকেট পান যশ দয়াল, রশিখ দার ও সুয়াশ শর্মা। গতবারও ইডেন ছিল ব্যাটারদের স্বর্গ। এবার দেখার এই রান নিয়েও জিততে পারে কিনা গতবারের চ্যাম্পিয়নরা?