সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলের গত মরশুমে সবার শেষে ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিত শর্মার বদলে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হার্দিক পাণ্ডিয়াকে (Hardik Pandya)। সমর্থকরা ভালো নজরে দেখেননি এই পরিবর্তন। আসলে গুজরাট টাইটান্স থেকে মুম্বই এসেই ক্যাপটেন্সি পেয়েছিলেন হার্দিক। সেটা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তাই হার্দিককে কটুকাটব্য করতে ছাড়েননি তাঁরা। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম হোক কিংবা ওয়েংখেড়ে, কেবল তিরস্কারই জুটেছিল তাঁর ভাগ্যে। এদিন সেই পাণ্ডিয়াই সাসপেনশন কাটিয়ে মুম্বই দলে ফিরতে চলেছেন।

এটা নতুন মরশুম। নতুন ম্যাচ। নতুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরু করবে দুই দল। যদিও দুই দলই একটা করে ম্যাচ খেলে নিয়েছে। মুম্বইয়ে অভিষেক হয়েছে ভিগনেশ পুথুরের। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সত্ত্বেও সিএসকে'র কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। অন্যদিকে, গুজরাট ১১ রানে হার স্বীকার করেছে পাঞ্জাব কিংসের কাছে। সুতরাং আজকের ম্যাচে নামার আগে কোনও শিবিরই মানসিকভাবে এগিয়ে থেকে শুরু করবে না। দুই দলই চাইবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে ম্যাচ বার করে নিতে।
পাঞ্জাবের শ্রেয়স আইয়ার এবং শশাঙ্ক সিং গুজরাট টাইটান্সের বোলিং একেবারে তছনছ করে দিয়েছিলেন। তাই মাঠে নামার আগে গুজরাট অধিনায়ক শুভমান গিল চাইবেন, মুম্বইয়ের মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের আটকে রাখতে। কারণ সেখানে সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা, হার্দিক পাণ্ডিয়ার মতো ব্যাটাররা রয়েছেন। তাই যুজবেন্দ্র চাহালকে গুজরাটের হয়ে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। তবে তাদের চিন্তায় রাখবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিসের বোলিং ফর্ম। দুই বোলারই আগের ম্যাচে বেধড়ক মার খেয়েছেন। যদিও শেষ দু'টি ম্যাচের ফলাফল গুজরাটকেই এগিয়ে রাখছে। কারণ শেষ দুই সাক্ষাতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিল-ব্রিগেড।
এদিকে, রোহিত শর্মা প্রথম ম্যাচে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরেছেন। শূন্য করে গড়েছেন লজ্জার রেকর্ড। আইপিএলে ১৮ বার ডাক করে যুগ্ম শীর্ষে তিনি। আরেকবার শূন্যে আউট তাঁকে এককভাবে শীর্ষে পৌঁছে দিতে পারে। তাই ম্যাচের আগে চাপে থাকবেন 'হিট ম্যান'। চাপ কাটিয়ে উঠতে চাইবেন এই মুম্বইকর। তাছাড়াও তাদের বাকি ব্যাটারদের অবস্থাও তথৈবচ। ভালো শুরু করে আউট হয়ে গিয়েছেন সূর্যকুমার, শিবম দুবে। তাঁরা চাইবেন এদিন দলের প্রয়োজনে উল্লেখযোগ্য ইনিংস উপহার দিতে।
তবে মনে করা হচ্ছে এই ম্যাচে গুজরাট দলে ফিরতে পারেন গ্লেন ফিলিপস। সেক্ষেত্রে মিডল অর্ডারে কারোর উপর কোপ পড়তে পারে। ফিলিপস কিন্তু বোলিংটাও করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে দলে নিলে লাভ গুজরাটের। যদিও শেরফেন রাদারফোর্ডের ৪৬ (২৮) রানের পর তাঁকে বাদ দেওয়া কঠিন।
এদিকে প্রশ্ন হল, হার্দিক (Hardik Pandya) কার জায়গায় খেলবেন? তিনি সত্যনারায়ণ রাজুর পরিবর্তে দলে আসতে পারেন। সিএসকে-র বিরুদ্ধে মাত্র এক ওভার বল করেছিলেন রাজু। রানও করেছিলেন মাত্র এক। হার্দিক কিন্তু মুম্বই দলের এক্স-ফ্যাকটর। ব্যাটে-বলে নিজেকে মেলে ধরতে মরিয়া হয়ে থাকবেন তিনি। গত ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছিলেন ওপেনার রায়ান রিকেলটন। তাঁর জায়গায় দলে নেওয়া হতে পারে উইল জ্যাকসকে। তিনি কিন্তু অলরাউন্ডারও। তবে বুমরাহের অবর্তমানে মুম্বই দলের অন্যতম সেরা শক্তি হল ট্রেন্ট বোল্ট। গুজরাটের টপ অর্ডার বনাম বোল্ট লড়াই দেখতে চলেছে আইপিএল। গুজরাটের টপ অর্ডারই হল তাদের আসল শক্তি। সাই সুদর্শন, শুভমান গিল এবং জস বাটলারকে নিয়ে সাজানো গুজরাটের টপ থ্রি। তিনজনই কিন্তু ছন্দে রয়েছেন। তাই আজ সেয়ানে সেয়ানে লড়াই দেখতে চলেছে আইপিএল।