সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই বার্ষিক চুক্তির তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে বিসিসিআই। সূত্রের খবর, তারকা স্পিনার অক্ষর প্যাটেল এবং কুলদীপ যাদব গ্রেড বি থেকে গ্রেড এ-তে উঠে আসতে চলেছেন। অন্যদিকে, শ্রেয়স আইয়ারকেও বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিতে ফেরানো হতে পারে।
ভারতকে দু'টি আইসিসি ট্রফি জেতাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন কুলদীপ যাদব এবং অক্ষর প্যাটেল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কুলদীপ ১৩.৯০ গড়ে ১০ উইকেট নেন। অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। ইকোনমি রেট ছিল মাত্র ৪.৭৯। অক্ষর প্যাটেলও দুই টুর্নামেন্টে ব্যাটে-বলে সফল। ১৯.২২ গড়ে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে তাঁর ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ভারতকে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অনীহার কারণে গত বছর বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছিলেন শ্রেয়স। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তিনি দুর্দান্ত খেলেন। তিন ম্যাচে দু’টি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। ভাগ্য ফেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। মরুদেশে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান (২৪৩) করেন শ্রেয়স। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রান করে দলকে জেতানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। অনবদ্য পারফর্ম করে ভারতের খেতাব জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি হয়ে ওঠেন। সবমিলিয়ে এ বছর আটটি একদিনের ম্যাচে করেছেন ৪২৪ রান। চলতি আইপিএলেও অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন। সম্প্রতি আইসিসির মঞ্চে সেরার শিরোপাও পেয়েছেন। আর এবার তিনি ফের ঢুকে পড়তে চলেছেন বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে।
যদিও বিসিসিআইয়ের কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতে পারে। জানা গিয়েছে, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জশপ্রীত বুমরাহ, রবীন্দ্র জাদেজারা এ প্লাস গ্রেডেই থেকে যেতে চলেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর রোহিত, বিরাট, জাদেজা - তিন ক্রিকেটারই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। সুতরাং, তাঁরা এখন মাত্র দু'টি ফরম্যাটে খেলেন। তাই প্রশ্ন উঠতে পারে, তাঁরা কীভাবে এ প্লাস গ্রেড ধরে রাখবেন? এক্ষেত্রে বিসিসিআই নিয়মভঙ্গ করছে না তো? নাকি সমালোচনার চাপে তাঁদের গ্রেডেশন স্তর নামিয়ে আনা হবে? এ ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তালিকাভুক্ত ক্রিকেটারদের চুক্তির মেয়াদ শুরু হতে চলেছে আগামী জুনে, ইংল্যান্ড সফর শেষে।
