সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হতে পারত রূপকথার গল্প। যেখানে সব গল্পের 'হ্যাপি এন্ডিং'। কিন্তু আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে বাস্তবের মাটিতে আছড়ে পড়েছেন করুণ নায়ার। তাঁর আর্তি রেখে 'প্রিয়' ক্রিকেট তাঁকে আরেকটা সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু সেটাকে কাজে লাগাতে পারলেন কোথায়? ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটে টেস্টে তাঁর রানসংখ্যা ১১৭। 'প্রিয়' ক্রিকেটের থেকে হয়তো লর্ডস টেস্টে 'শেষ সুযোগ' পাবেন? এবার কি সদ্ব্যবহার করতে পারবেন?
করুণের সফরটা অবশ্যই শিক্ষণীয়। করুণ শেষ টেস্টটি খেলেছিলেন ২০১৭ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। তার আগে ২০১৬ সালে এক ইনিংসে করেছিলেন ৩০৩ রান। ঘটনাচক্রে সেটাও ছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই। ২০২২ সালে দল থেকে বাদ পড়ার এক্স হ্যান্ডলে করুণ লিখেছিলেন, ‘প্রিয় ক্রিকেট, আমাকে আরেকটা সুযোগ দাও’। গত মরশুমে ঘরোয়া ক্রিকেট করুণের প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী থেকেছে। রনজিতে দল বদলে এসেছিলেন বিদর্ভে। যারা রনজি চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। অবশেষে ৮ বছর ৮৩ দিন পর সেই সুযোগটা পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লিডস টেস্টে।
সেখানে প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে সম্বল মাত্র ২০ রান। এজবাস্টন টেস্টে মনে হচ্ছিল, হয়তো ব্যাটে সেই রূপকথা লিখবেন। সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ৩১ রানে আচমকা আউট। দ্বিতীয় ইনিংসে করুণ করেন ২৬ রান। লর্ডসের প্রথম ইনিংসের পরিস্থিতি অনেকটা ভালো ছিল। কিন্তু সেটাও তো মাত্র ৪০। দ্বিতীয় ইনিংসে হয়তো আরেকটা সুযোগ পাবেন। সেখানেই যা করার করতে হবে ৩৩ বছর বয়সি ব্যাটারকে। নাহলে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সম্ভবত আর সুযোগ পাবেন না। যেখানে বিরাট-রোহিতদের মতো তারকাদের বিদায় নিতে হচ্ছে, সেখানে করুণকে বেশিদিন টানা হবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। রূপকথার গল্পের সোনা কাঠি-রুপো কাঠি দিয়েও আর ঘুম ভাঙবে না।
কিন্তু কোথায় সমস্যা করুণের? ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্সের পুঁজি দিয়ে যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চলবে না, সেটা নিশ্চয়ই নিজেও বুঝতে পারছেন। 'এক্সট্রা অর্ডিনারি' কিছু করে দেখাতে হবে। চেতেশ্বর পূজারা বলছেন, "ও ক্রিজে আটকে পড়ছে। সেটা চিন্তার। ব্যাকফুট ঠিকভাবে নড়ছে না। শরীরের বাইরের বল খেলার সময় সমস্যায় পড়ছে। তাছাড়া মানসিকভাবেও শক্ত হতে হবে। যেভাবেই হোক আগে ৫০-র গণ্ডি পেরোতে হবে। তাতে আত্মবিশ্বাস পাবে।" করুণ নায়ার কি শুনছেন? 'জেন বোল্ডে'র জমানায় 'গোল্ডেন' পারফরম্যান্স করতে হবে। তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের 'সময়ডালে পাতা' নাহলে ফুরিয়ে আসবে।
