অরিঞ্জয় বোস: নির্ধারিত সূচি মেনেই খেলা হবে কেকেআর বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচ। আগামী মাসের ৬ তারিখ ইডেনে ওই ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কলকাতা পুলিশ জানায়, সেই ম্যাচে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। ম্যাচ অন্যত্র সরে যাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত জটিলতা কেটেছে। নির্ধারিত দিনেই ইডেনে খেলতে নামবে দুই দল।

আগামী ৬ এপ্রিল রাজ্যজুড়ে পালিত হবে রামনবমী। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছু মিছিল বেরতে চলেছে রামনবমী উপলক্ষে। তাছাড়া সাম্প্রতিক অতীতে রামনবমীকে কেন্দ্র করে রাজ্যে অশান্তির ছবিও দেখা গিয়েছে। তাই কলকাতা পুলিশ সতর্ক। রামনবমীর দিন ইডেনে ম্যাচে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে ইতিমধ্যেই সিএবিকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। পরে সিএবির তরফেও জানানো হয়, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ওই দিন ম্যাচ সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে শোনা যাচ্ছিল, কলকাতা থেকে সরে ম্যাচ চলে যাবে গুয়াহাটি।
কেকেআর ম্যাচ যেন কলকাতার বাইরে চলে না যায়, তার জন্য সচেষ্ট হয়েছিল স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। পুলিশ-প্রশাসনের সর্বোচ্চ আধিকারিকের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন মহারাজ। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে যাতে ইডেনেই কেকেআর-লখনউ ম্যাচ আয়োজন করা যায়, সে নিয়ে কথাবার্তা বলেছেন সৌরভ। আসলে লখনউ ম্যাচকে ঘিরে কলকাতাবাসীর আলাদা উন্মাদনা রয়েছে। বিশেষ করে মোহনবাগান ভক্তদের জন্য। কারণ ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা আইপিএলের সঙ্গে মোহনবাগানকে মিশিয়ে সারপ্রাইজ দিয়েছেন অতীতেও। কিন্তু ম্যাচটি শহর হাতছাড়া করলে পন্থদের পারফরম্যান্সের সাক্ষী থাকা হবে না দর্শকদের। তাই ক্রিকেটের নন্দনকাননেই এই ম্যাচ যাতে হয়, তার সবরকম প্রয়াস করছেন সৌরভ।
তারপরেই ম্যাচ নিয়ে জটিলতা কেটেছে। সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে সরছে না নাইটদের ম্যাচ। ৬ এপ্রিল ইডেন গার্ডেন্সেই খেলতে নামবে কেকেআর। প্রসঙ্গত, এদিনই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছিলেন, রামনবমীতে ম্যাচ সরিয়ে দেওয়া নিয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে বিষয়টি তাঁর নজরে এলে অবশ্যই যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।