সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার পেস ব্যাটারির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সাবিনা পার্কে তৃতীয় টেস্টে ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৭ রানে অলআউট ক্যারিবিয়ানরা। যা টেস্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। মাত্র ৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে বিরাট নজির অজি পেসার মিচেল স্টার্কের। অন্যদিকে একরাশ লজ্জার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করে ২২৫। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমে যায় ১৪৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে শামার জোসেফ ও আলজারি জোসেফের দাপটে অস্ট্রেলিয়াও ১২১ রানের বেশি করতে পারেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততে হলে ২০৪ রান করতে হত। প্রথম দুটি টেস্টে হেরে থাকা নড়বড়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং অর্ডার যে গোলাপি বলে রানটা তুলতে পারবে না, তা কার্যত দেওয়াল লিখন ছিল। কিন্তু তারা যে ১৪.৩ ওভারে মাত্র ২৭ রানে অলআউট হয়ে যাবে, তা ভাবা যায়নি।
৬ উইকেট তোলেন অজি পেসার মিচেল স্টার্ক। সেটাও মাত্র ৯ রান দিয়ে। তিনিই প্রথম বোলার, যিনি ১৫ বলের মধ্যে পাঁচটা উইকেট তুলে নেন। ১৯৪৭ সালে আর্নি টোশাক ও ২০১৫ সালে স্টুয়ার্ট ব্রড ১৯ বলে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। ১০০ তম টেস্টে খেলতে নেমে ৪০০ উইকেট তুললেন স্টার্ক। অন্যদিকে হ্যাটট্রিক করেন স্কট বোলান্ড। যা দিন-রাতের টেস্টে প্রথম হ্যাটট্রিক।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়েছিল ২৬ রানে। সেটাই টেস্টের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রান। ক্যারিবিয়ানরা সেটার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেল। তবে লজ্জার রেকর্ড এখানেই শেষ নয়। তাদের ৭ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়। এর আগে ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের ৬ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ১২৮ রানে। বাংলাদেশের ৬ উইকেট পড়েছিল ৮৭ রানে।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রান
২৬ - নিউজিল্যান্ড বনাম ইংল্যান্ড, ২৭ ওভার, ১৯৫৫
২৭ - ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়া, ১৪.৩ ওভার, ২০২৫
৩০ - দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ড, ১৮.৪ ওভার, ১৮৯৬
৩০ - দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ড, ১২.৩ ওভার, ১৯২৪
৩৫ - দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ড, ২২.৪ ওভার, ১৮৯৯
৩৬ - দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া, ২৩.২ ওভার, ১৯৩২
৩৬ - অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড, ২৩ ওভার, ১৯০২
৩৬ - ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, ২১.২ ওভার, ২০২০
