সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান ক্রিকেটে গোলযোগ লেগেই আছে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারতে হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুলতানে লজ্জার নজির। প্রথম ইনিংসে ৫০০-র বেশি রান করেও ইনিংসে হারতে হয়েছে। অবশেষে বড় পদক্ষেপ পিসিবি-র। ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাকি দুটি টেস্টে যে দল ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে সুযোগ পাননি বাবর আজম ও শাহিন আফ্রিদিরা। দলে ঠাঁই হয়নি আরও দুই তারকা সরফরাজ আহমেদ ও নাসিম শাহর।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তো বটেই, বাংলাদেশের সঙ্গে টেস্টেও ফর্মের ধারেকাছে ছিলেন না বাবর ও শাহিন আফ্রিদি। বাবরের অবস্থা আরও খারাপ। গত ১৮ ইনিংসে কোনও হাফসেঞ্চুরি নেই। সর্বোচ্চ মাত্র ৪১। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে রান ৩৫। অন্যদিকে শাহিন আফ্রিদি ২৬ ওভার বল করে খরচ করেছেন ১২০ রান। তুলেছেন মাত্র ১টি উইকেট। বাদ পড়া আরও দুই ক্রিকেটার সরফরাজ আহমেদ ও নাসিম শাহর অবস্থাও তথৈবচ।
তাঁদের জায়গায় দলে এলেন একঝাঁক নতুন মুখ। মেহরান মুমতাজ, হাসিবুল্লাহ ও কামরান গুলামরা আগে পাকিস্তানের হয়ে খেলেননি। সিদ্ধান্তটা যে কঠিন ছিল, সেটা মেনে নিচ্ছেন পাকিস্তানের নির্বাচন কমিটির সদস্য আকিব জাভেদ। তবে বাবর-শাহিনকে নিয়ে দলের মধ্যেই গণ্ডগোল রয়েছে, তা একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট চলাকালীনই শাহিন ‘জিম্বু, জিম্বু’ বলে ডাকতে থাকেন বাবরকে। যেটাকে একেবারেই ভালোভাবে নেন না পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার।
শুধু এই চারজন নয়, অবস্থা বেগতিক অধিনায়ক শান মাসুদেরও। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে সবার নীচে রয়েছে পাকিস্তান। প্রবল সমালোচিত পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদের পরিকল্পনা। তাঁর নেতৃত্বে ৬টি টেস্টের ৬টিই হেরেছে। পাকিস্তান শেষ টেস্ট জিতেছে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে। অর্থাৎ, তাদের শেষ জয় এসেছিল ৪৪৩ দিন আগে। অবস্থা যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে টেস্ট দলের নেতৃত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেই খবর।