কানাডা: ১০৬/৭ (জনসন ৫২, আমির ২/১৩, রউফ ২/২৬)
পাকিস্তান: ১০৭/৩ (রিজওয়ান ৫৩*, বাবর ৩৩, হেলিগার ২/১৮)
সাত উইকেটে জয়ী পাকিস্তান।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুস্থ বাঘের চেয়ে আহত বাঘ বেশি ভয়ংকর। বহু প্রচলিত এই কথাই যেন প্রমাণ করল পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের মুখে দাঁড়িয়ে বাবর আজমরা ঘুরে দাঁড়ালেন। আয়োজক দেশ কানাডাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন এখনও বেঁচে রইল পাকিস্তানের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে লজ্জার হারের পর ভারতের বিরুদ্ধেও ধরাশায়ী হতে হয়েছিল পাক ব্রিগেডকে। টানা হারের রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই মঙ্গলবার ফের ময়দানে নামতে হয়েছিল শাহিন আফ্রিদিদের। কানাডার বিরুদ্ধে হারলেই বিশ্বকাপ (ICC T20 World Cup 2024) স্বপ্ন শেষ- এই কথা জেনেই মাঠে নামে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি ফুটল পাকিস্তানের মুখে, চলতি বিশ্বকাপে এই প্রথমবার।
[আরও পড়ুন: দুরন্ত লড়াই করেও স্বপ্নভঙ্গ, বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে বিদায় ‘সুনীলহীন’ ভারতের]
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাক (Pakistan) অধিনায়ক বাবর। চার পাক পেসারের আগুনে বোলিংয়ের সামনে শুরু থেকেই বিপাকে পড়ে যান কানাডার ব্যাটাররা। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে তাদের। যদিও ক্রিজের এক প্রান্তে থেকে ইনিংস গড়ার কাজ করছিলেন ওপেনার অ্যারন জনসন। কিন্তু উলটোদিকে দুই টেলএন্ডার ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৫২ রান করে আউট হয়ে যান জনসন নিজেও। এদিন পাক বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মহম্মদ আমির। নিজের চার ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তুলেছেন ২টি উইকেট। জোড়া উইকেট গিয়েছে হ্যারিস রউফের ঝুলিতেও।
২০ ওভারের শেষে ১০৬ তোলে কানাডা (Canada)। মাত্র ১০৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নামেন মহম্মদ রিজওয়ানরা। তবে পেসারদের স্বর্গ নাসাউ স্টেডিয়ামে এই রান তুলতেই বেশ বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ১৮ ওভারে গিয়ে তিন উইকেট খুইয়ে জয় নিশ্চিত করে তারা। ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। ৩৩ রান আসে বাবরের ব্যাট থেকেও। তবে এই ম্যাচ জিতলেও অন্য দলগুলোর পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করবে, পাকিস্তান আদৌ সুপার এইটে পৌঁছবে কিনা।