সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৈয়দ মুস্তাক আলির গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষ। ৭ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সি গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি পন্ডিচেরি। তারপরই তাদের দলের কোচকে আক্রমণ পন্ডিচেরির তিন ক্রিকেটারের। আঘাত এতটাই গুরুতর যে কোচ এস বেঙ্কটরমনের কাঁধের হাড় সরে গিয়েছে, কপালে ২০টি সেলাই পড়েছে।
পন্ডিচেরির অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ বেঙ্কটরমন। অভিযোগ, তিনজন ক্রিকেটার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির দলে সুযোগ পাননি। সেই 'রাগ' থেকেই বেঙ্কটরমনকে ব্যাট দিয়ে আক্রমণ করেন তাঁরা। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচের আরও বক্তব্য, পন্ডিচেরির ক্রিকেট ফোরামের সম্পাদক জি চন্দ্রনের উসকানিতেই তিন ক্রিকেটার তাঁকে আক্রমণ করেন। ইতিমধ্যে তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে সেদারাপেট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
সেই অভিযোগে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে যখন বেঙ্কটরমন অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময় কার্তিকেয়ন, অরবিন্দ রাজ ও সন্তোষ কুমারন নামের তিন ক্রিকেটার তাঁকে আক্রমণ করেন। তাঁদের অভিযোগ, বেঙ্কটরমনই ইচ্ছাকৃত পন্ডিচেরি দলে তাঁদের অন্তর্ভুক্তি আটকে দিয়েছে। তাঁরা 'খুনের পরিকল্পনা'তেই আক্রমণ করেন। জানা গিয়েছে, বেঙ্কটরমনের মাথা ফেটেছে ও ঘাড়ের হাড় সরে গিয়েছে। কপালে ২০টি সেলাই করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্লেয়াররা আপাতত পলাতক। পুলিশ তাঁদের খুঁজছে।
তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্রিকেট ফোরামের প্রধান সেন্থিল কুমারন। তাঁর বক্তব্য, "বেঙ্কটরমন স্থানীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, অকথ্য ভাষায় গালি দেন। চন্দ্রনের বিরুদ্ধে ওর চাপা রাগ রয়েছে। এর আগে বহুবার বেঙ্কটরমনের নামে অভিযোগ উঠেছে। আমরা গত ৭ বছরে এই বিষয়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে বহুবার কথা বলেছি।"
