সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ বহুদিন দলের বাইরে। তো কেউ পারফর্ম করেও দলে জায়গা পাকা করতে পারছেন না। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দুই তারকা প্রত্যাবর্তনের লড়াই চালাচ্ছেন। ৫০ বলে ১১৩ রান করে ঝাড়খণ্ডকে জেতালেন ঈশান কিষান। অন্যদিকে ১৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে কেরলের জয় ছিনিয়ে আনলেন সঞ্জু স্যামসন।
ঈশান দেশের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২৩ সালে। তারপর বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করায় কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েন। এবার চলছে তাঁর প্রত্যাবর্তনের লড়াই। আর বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে 'বঞ্চিত' তকমা ঘোচানোর মরিয়া চেষ্টা উইকেটকিপার-ব্যাটারের। প্রথমে ব্যাট করে ১৮২ রানের লক্ষ্য দেয় ত্রিপুরা। কিন্তু মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৫ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় ঝাড়খণ্ড। ৫০ বলে ১১৩ রান করেন ঈশান। সেঞ্চুরি আসে ৪৫ বলে। মারেন ১০টি চার ও ৮টি ছয়। এই নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৫টি হাফসেঞ্চুরি হয়ে গেল ঝাড়খণ্ডের অধিনায়কের।
অন্যদিকে সঞ্জু স্যামসনও 'বঞ্চিত' ক্রিকেটারের দলে। দলে থাকলেও জায়গা পাকা কি না সংশয় আছে। ভারতের হয়ে ওপেনে নেমে ধারাবাহিক পারফর্ম করেছেন। তারপরও তাঁকে নিচের দিকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী বাদ পড়তে পারেন, এমন আশঙ্কাও আছে। তবে মুস্তাক আলি ট্রফিতে সঞ্জু যেন বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছেন ওপেনিংই তাঁর জায়গা। এর আগে ওড়িশার বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। এবার ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরি না পেলেও কেরলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করে ছত্তিশগড় ১২০ রান তোলে। জবাবে কেরল রান তুলে নেয় ৮ উইকেট হাতে নিয়ে। তখনও বল বাকি ছিল ৫৬। সঞ্জু একাই ৪৩ রান করে যান। তার জন্য নেন মাত্র ১৫ বল। চার মাত্র দু'টি। যেখানে ছয়ের সংখ্যা ৫। তাতেও কি জাতীয় দলে ওপেনে ফেরা হবে সঞ্জুর?
