সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে জম্মু ও কাশ্মীরে তল্লাশি অভিযানে নামল স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)। দিন কয়েক আগেই উপত্যকার অন্তত ১০টি এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। এবার অভিযানে এসআইএ। জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণের উপকরণ কোথা থেকে সরবরাহ হয়েছিল, তা জানতেই উপত্যকায় নতুন করে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
সূত্রের খবর, কাশ্মীরের গান্দেরবাল, শ্রীনগরের বাতামালুতে চলছে চিরুনি তল্লাশি। এছাড়ও দিল্লি বিস্ফোরণে ধৃত তুফায়েল নিয়াজ ভাটের বাড়িতেও চালানো হয়েছে তল্লাশি। তবে সেখান থেকে সন্দেহজনক কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, এই তুফায়েলের সঙ্গে যোগ ছিল জঙ্গি চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাথরের। অভিযোগ, তুফায়েলই তার কাছে পৌঁছে দিয়েছিল একটি রাইফেল। অন্যদিকে, ওয়াকুরা এলাকায় আরও এক অভিযুক্ত জমির আহাঙ্গারের বাড়িতেও এদিন তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। শুধু বিস্ফোরণের উপকরণ নয়, ‘হোয়াইট কলার’ জঙ্গি মডিউলটির অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজেও উপত্যকায় চলছে তল্লাশি।
তদন্তকারীদের সন্দেহ, দিল্লি বিস্ফোরণের উপকরণ তুফায়েলই পাচার করেছিল। কিন্তু বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তা খতিয়ে দেখতেই এদিন তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তাছাড়া ‘হোয়াইট কলার’ জঙ্গি মডিউলের জাল ভূস্বর্গের ঠিক কোথাও কোথাও ছড়িয়ে রয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে। তদন্তে নেমে শ্রীনগর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা বেশিরভাগই কাশ্মীরের। জানা গিয়েছে, ওই 'জেহাদি' চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগ ছিল দিল্লি বিস্ফোরণের।
