সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় আমাদের বড় শিক্ষক। যা অনেক কিছু শিখিয়ে যায় প্রতি মুহূর্তে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সর্বোচ্চ রান করে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন না ঈশান কিষান। অথচ কে জানত ফিনিক্সের মতো জাতীয় দলে ফিরবেন তিনি! সকলকে চমকে দিয়ে উইকেটকিপার-ব্যাটার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন। দেশের হয়ে ২০২৩ সালে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। এবার নীল জার্সিতে ফের দেখা যাবে তাঁকে। বিশ্বকাপ দলে নিজের নাম দেখে 'খুশি' বাঁ-হাতি ব্যাটার।
বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে ঝাড়খণ্ডকে জিতিয়ে ‘বঞ্চিত’ তকমা ঘোচানোর মরিয়া চেষ্টা একটা করেছিলেন তিনি। ফাইনালে ৪৯ বলে ১০১ রানের ইনিংসে কার্যত উড়ে গিয়েছিল হরিয়ানা। ১০ ম্যাচে ৫১৭ রান করে তিনিই শীর্ষ রান সংগ্রাহক। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সেই তিনি বললেন, "আমি খুবই খুশি। একই সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটে আমার দল ঝাড়খণ্ডের জন্যও খুশি। প্রথমবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি জিতেছি আমরা। সবাই সত্যিই ভালো খেলেছে।" অনেকেই বলছেন, মুস্তাক আলিতে তাঁর সাফল্যই জাতীয় দলের দরজা খুলে দিয়েছে। আর এটাও স্পষ্ট যে, গিলকে বসিয়ে তাঁকে ফেরানো মানে ঘরোয়া ক্রিকেটকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
২৭ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার ঝোড়ো সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জিতিয়ে বলেছিলেন, “হতাশাকে ঘাড়ে চাপতে দেওয়া চলবে না। তরুণদের কাছে এটাই আমার বার্তা। হতাশা তোমাকে এক পা পিছিয়ে নিয়ে যাবে। সেই সময় তোমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। তুমি যা অর্জন করতে চাও, সেই দিকে মনোযোগ দিতে হবে। জানি যে তুমি অনেক সময় সুযোগের আশা করো। যখন নিজের নাম দেখতে পাও না, তখন তোমার খারাপ লাগে। কিন্তু এখন আমি সেসব ভাবি না। তাই কিছু আশা করছি না। আমার কাজ হল কেবল পারফর্ম করে যাওয়া।”
জীবন হয়তো এভাবেই বদলে যায়। ডবল সেঞ্চুরি করার পর অনেকেই মনে করেছিলেন, ভারতীয় দলে ঈশান কিষানের জায়গা পাকা, তাঁরা এক সময় ভুল প্রমাণিত হয়েছিলেন। বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়া থেকে জাতীয় দলের লড়াই থেকে ছিটকে ফিনিক্স পাখির মতো ঈশানের এই কামব্যাকের লড়াই সত্যিই দেখার মতো। যার নেপথ্যে রয়েছে ভগবদ্গীতার বাণী। ‘অবাধ্য’ সেই ঈশানই ফের শৃঙ্খলা দিয়েই জাতীয় দলে ফিরতে তৎপর।
