গোবিন্দ রায়: আরএসএসের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে টালবাহানার অবসান। অনুষ্ঠানের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শনিবার সন্ধ্যায় মামলার শুরুতেই রাজ্যের আইনজীবী জানিয়ে দেন অনুমতি ই-মেলের মাধ্যমে যাচ্ছিল না। তাই কলকাতা পুলিশের লালবাজারের রিপোর্ট সেকশনে ন'টার মধ্যে উদ্যোক্তারা প্রতিনিধি পাঠালে সেই অনুমতিপত্র পেয়ে যাবেন। আবেদনকারীর আইনজীবীদের মেলেও সেই অনুমতিপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
রাজ্যের আইনজীবীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের নির্দেশ, রাত নটার মধ্যে আরএসএসয়ের প্রতিনিধি দিয়ে লালবাজার থেকে অনুমতি পত্র সংগ্রহ করবেন। পাশাপাশি, আবেদনকারীর আইনজীবীকেও ই-মেলের মাধ্যমে সেই অনুপতি পত্র পাঠাতে হবে। আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দিনই শহরে এসেছেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত। এদিন সকালে শিলিগুড়ি থেকে দমদম আসেন তিনি। সংঘ সূত্রে খবর, এদিন কোনও কর্মসূচি না থাকায় সারাদিন কেশব ভবনে কাটিয়েছেন তিনি। রবিবার সায়েন্স সিটিতে শহরের বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে সংঘের শতবর্ষ বিষয়ে ভাষণ ও মত বিনিময়ের কর্মসূচি আছে ভাগবতের। ওই সভার অনুমতি নিয়ে পুলিশের দড়ি টানাটানি শুরু হয়। হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় আরএসএস। সন্ধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হয়। এরপর অনুষ্ঠানের অনুমতি পায় আরএসএস।
বলে রাখা ভালো, গত ১৮ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে পা রাখেন মোহন ভাগবত। সেখানেই জরুরি বৈঠকে অংশ নেন। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই স্বাভাবিকভাবে এই বৈঠকে রাজনৈতিক তাৎপর্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে রাজনীতির প্রসঙ্গে নাকি একটি কথাও ওঠেনি। পরিবর্তে সুস্থ সমাজ গড়ে তোলার বার্তা দেন সংঘ প্রধান। রাজনৈতিক মতাদর্শকে দূরে সরিয়ে রেখে প্রতিটি মানুষকে সংঘের কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বার্তা দেন মোহন ভাগবত। জানা গিয়েছে, আসন্ন ভোটে নাকি বঙ্গ বিজেপির ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। আরএসএসের মাধ্যমে সমর্থন আরও বাড়িয়ে গেরুয়া শিবিরকে আরও শক্তিশালী করে তোলার পরামর্শও দেন সংঘপ্রধান।
