সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “হিন্দু-মুসলিম ঐক্যই প্রধান… কিন্তু গো-রক্ষার কারণে যাঁরা গণরোষ তৈরি করে আক্রমণ করছেন, তাঁরা হিন্দুত্ব থেকে বিচ্যুত হচ্ছেন।” রবিবার মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের অনুষ্ঠানে এমনই বক্তব্য রেখেছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (Rashtriya Swayam Sevak Sangh) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সোমবার তাঁরই পালটা দিলেন AIMIM প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। টুইটে একের পর এক বার্তায় মোহন ভাগবতের সমালোচনায় মুখর হলেন তিনি।
এদিন একের পর এক টুইট বার্তায় ওয়েইসি বলেন, এই ধরনের অপরাধীরা গরু এবং মোষের পার্থক্য করতে না পারলেও, কারওর নাম দেখেই তাঁদের উপর হামলা চালাতে পারে। এরপরই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া কিংবা এই ধরনের অপরাধীদের পাশে দাঁড়ানোর অভিযোগও তোলেন। এখানেই শেষ নয়, গণপিটুনির ঘটনার জন্য সরাসরি মোদি সরকারকেই দায়ী করেন।
[আরও পড়ুন: ‘তুষার মেহতার বাড়িতে শুভেন্দুর CCTV ফুটেজ কোথায়?’ রাইসিনায় গিয়ে প্রশ্ন সুখেন্দুশেখরের]
ওয়েইসি লেখেন, “আরএসএসের মোহন ভাগবত বলেছেন, গণপিটুনির সঙ্গে যুক্তরা আসলে হিন্দুত্ববিরোধী। এই ধরনের অপরাধীরা গরু এবং মোষের পার্থক্য জানে না। এদের খুন করার সময় জুনেইদ, আখলাখ, পেহলু, আলিমুদ্দিন নামগুলি দেখলেই হল। এই হিংসা হিন্দুত্বের জন্যই ছড়িয়েছে। এই অপরাধীদের হিন্দুত্ববাদী সরকারই আশ্রয় দিয়েছে। ” পরবর্তীতে আরও দুটি টুইটে এআইএমআইএম প্রধান লেখেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলিমুদ্দিনের খুনির হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন, আখলাখকে হত্যাকারীর মৃতদেহের উপর তেরঙ্গা পতাকা থাকে, আসিফকে যে মেরেছে তার সমর্থনে মহাপঞ্চায়েত বসে। সেখানে আবার বিজেপির মুখপাত্র বলেন, আমরা কী খুনও করতে পারব না? ভীরুতা, হিংসা এবং খুন করা-এই তিনটে জিনিসই গডসের হিন্দুত্ববাদী চিন্তাধারার অংশ। মুসলমানদের গণপিটুনির ঘটনা এই ভাবনারই ফসল।”