সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই বিতর্ক বাণে বারবার বিদ্ধ হয়েছেন। মাঠে নেমেও সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে পারেননি। কাতারের মাটি থেকে একরাশ যন্ত্রণা নিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি যে কতটা ভেঙে পড়েছেন, তা দেখা গিয়েছিল বিশ্বকাপে সম্ভবত তাঁর বিদায়ী ম্যাচেই। বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও মরক্কোর কাছে হারের জ্বালা ভুলতে পারছেন না তিনি, সেই কথা বুঝিয়ে দিল তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার সঙ্গে মিশে গেল ব্যক্তিগত অপমানও। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Roanldo) ছোট্ট ইনস্টা স্টোরি বুঝিয়ে দিল। কতটা মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) শুরুর আগেই রোনাল্ডোর সঙ্গে চুক্তি শেষ করে দেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সৌদি আরবের ক্লাবের লোভনীয় প্রস্তাব রয়েছে তাঁর কাছে, এমনটাই শোনা গিয়েছিল। নতুন বছরের শুরুতেই নয়া ক্লাবের সঙ্গে বিপুল অঙ্কের চুক্তি সেরে ফেলবেন পর্তুগিজ মহাতারকা, সেটাই শোনা গিয়েছিল। তবে এই জল্পনা আদৌ কতটা সত্যি তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন ছিলই। কারণ রোনাল্ডো ইউরোপের ক্লাবে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে চান। এহেন পরিস্থিতিতে নির্দয় বাস্তব বলছে, ক্লাব ফুটবলের দুনিয়ায় এই মুহূর্তে নাম নেই সি আর সেভেনের।
[আরও পড়ুন: লিভারপুল নয়, ছেলের পছন্দের ইপিএল ক্লাব কেনার পথে মুকেশ আম্বানি]
ক্লাব ফুটবলে অবহেলার যন্ত্রণা ভুলিয়ে দিতে পারত পর্তুগালের জার্সি। কিন্তু প্রথম ম্যাচে গোল করার পর থেকে তো আর জ্বলে উঠতে পারলেন না। দলের কাছে বোঝা হয়ে উঠে প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়ে গেলেন। বেঞ্চে বসেই দেখতে হল, তাঁর জায়গায় খেলতে নেমে সকলকে মাতিয়ে দিলেন গনসালো র্যামোস। দেশীয় সমর্থক থেকে শুরু করে দলের কোচ-রোনাল্ডোকে বাদ দিতে একমত হলেন সকলেই। মরক্কোর কাছে হেরে চোখের জলে তাঁর বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হল।
কাতারকে বিদায় জানানোর বেশ কয়েকদিন পরে ইন্সটা স্টোরিতে নিজের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরলেন সিআর সেভেন। লিখেছেন, "বাস্তবের তিনটি বৈশিষ্ট্য। যন্ত্রণা, অনিশ্চয়তা আর কঠোর পরিশ্রম।" মাত্র কয়েকটা শব্দের মধ্যেই বুঝিয়ে দিলেন, মানসিকভাবে কতটা বিধ্বস্ত তিনি। বিশ্বকাপে পর্তুগালের হারের যন্ত্রণার সঙ্গে মিশেছে ক্লাব ফুটবল কেরিয়ারের অনিশ্চয়তা। তবে তিনি তো বরাবরের ফাইটার। কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরনোর রাস্তাও খুঁজে নিয়েছেন সিআর সেভেন। কঠোর পরিশ্রমে নিজেকে ডুবিয়ে দিয়ে ফের ফুটবল মাঠে জ্বলে উঠবেন। সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় শুধু রোনাল্ডো নন, বসে রয়েছেন তাঁর অগণিত ভক্তও।