সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নদীতে টেনে নিয়ে গিয়েছিল কুমির। ৩৬ ঘণ্টা পর নদীর চর থেকে উদ্ধার কিশোরের ক্ষতবিক্ষত দেহ। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের জি-প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানা এলাকার বাসিন্দা ১৪ বছরের মানিক ভক্ত। বাড়ির পাশেই ধনচি বনাঞ্চল লাগোয়া নদীতে মাছ ধরছিল সে। বুঝতেও পারেনি কত বিপদ অপেক্ষা করছে। নদীতে ওঁৎ পেতেছিল পেল্লায় মাপের কুমির। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই কিশোরের কোমরে কামড় দিয়ে তাকে নিয়ে নদীর গভীরে চলে যায় কুমিরটি। মিনিট পাঁচেক ধরে চলে যমে মানুষে টানাটানি। কুমিরটিকে পরে দেখা গেলেও নাবালকের আর হদিশ মেলেনি।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর পুরসভাগুলোর ‘অ্যাকশন’, সল্টলেক-কলকাতায় উচ্ছেদ অভিযান পুলিশের]
সোমবার রাত থেকে দফায় দফায় নদীতে চলে তল্লাশি। উপস্থিত ছিলেন রামগঙ্গা রেঞ্জের বনাধিকারিক কবীর হোসেন। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর বুধবার সকালে উদ্ধার হল কিশোরের ক্ষতবিক্ষত দেহ। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রবল চাঞ্চল্য এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।