অর্ণব দাস, বারাসত: তোলা না দেওয়ায় বোমাবাজি ইছাপুরে (Ichapur)। বোমার আঘাতে জখম ৩ জন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তদন্তে নেমেছে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ।
ইছাপুর নবাবগঞ্জ ডাবলু সি রোডে একটি বহুতল তৈরির কাজ চলছে। এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সেই নির্মীয়মান ফ্ল্যাটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনজন। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী এলাকায় চড়াও হয়। পর পর পাঁচটি বোমা ছুঁড়ে পালিয়ে যায় তারা। বোমার আঘাতে জখম হন তিনজনই।
[আরও পড়ুন: মালদহে তুলো কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা]
তাঁদের মধ্যে একজনের দু’পায়েই বোমার আঘাত লেগেছে। তাঁকে প্রথমে বি এন বোস মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। জখম বাকি দু’জন মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জখম তিনজনই তৃণমূলের (TMC) সক্রিয় কর্মী। নাম গোকুল মণ্ডল, ভোলা ধর এবং নীতীশ পাল। তাঁরা তিনজন মিলে বহুতল নির্মাণের ব্যবসা শুরু করেছিল। এদিকে ডাবলু সি রোডে বহুতল নির্মাণ কাজ শুরুর পরই তিনজনের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা তোলা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু তোলা দিতে নারাজ ছিলেন তাঁরা। তোলা দিয়ে কাজ করতে নারাজ ছিলেন তাঁরা। এনিয়ে কিছুদিন আগেও গণ্ডগোল হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ছোঁড়া হয়েছিল বোমাও। এদিনও সেই তোলা না দেওয়ায় বোমাবাজি (Bomb) হয় বলেই অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসার গাফিলতিতে অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু! নার্সিংহোমে ব্যাপক ভাঙচুর পরিবারের, আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী]
দুষ্কৃতীদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বাভাবিকভাবে লোকালয়ে দিনেদুপুরে বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। পুলিশের আশ্বাস, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। তবুও কাটছে না আতঙ্ক।