বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: মোদি-শাহদের রাজ্য গুজরাট। সেখানে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। অথচ মোকাবিলায় বুক চিতিয়ে পাশে দাঁড়াবেন না মোদি (Narendra Modi), শাহরা (Amit Shah), তা কল্পনাতীত। বিপর্যয় আছড়ে পড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগেই কয়েক হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করে দিল কেন্দ্র।
এর ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বাংলা বা অন্য রাজ্যের এমন বিপর্যয়ের ইঙ্গিত পেলেও এতটা তৎপরতা দেখান না প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। খুব বেশি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ। বিপর্যয়ের পর খুঁটিনাটি খোঁজখবর নেওয়ার পর আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা হলেও নানা অজুহাতে তা আটকে রাখার ঘটনাও ঘটেছে। অনেক সময়ই সেই ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ ওঠে। অথচ গুজরাটে ‘বিপর্যয়ে’র আগাম খবর মিলতেই নড়েচড়ে বসেছেন তাঁরা। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলার পরদিনই দু’দফায় রাজ্যের মন্ত্রী ও কেন্দ্রের আধিকারিদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন অমিত শাহ।
[আরও পড়ুন: ‘বৈধ নয়’, রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের]
বৃহস্পতিবার গুজরাতে আছড়ে পড়তে পারে শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়।’ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে পারে রাজে্যর পাঁচটি জেলা। ‘বিপর্যয়’ পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলার প্রস্তুতি সেরে রাখতে দফায় দফায় বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহরা। জানা গিয়েছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের কাছে প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান শাহ। বিশেষ করে রাজ্যে যে আটটি নিউক্লিয়ার গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে সেগুলি রক্ষায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান। বৈঠক থেকেই ৮ হাজার কোটির প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: চাকরি, ভাতা-সহ একাধিক দাবি, জেলাশাসকের দপ্তরে অনশনের সিদ্ধান্ত ডোম সমাজ বিকাশ পরিষদের]
সূত্রের খবর, রাজ্যের দমকল দপ্তরকে ঢেলে সাজাতে ৫ হাজার কোটি দেবে কেন্দ্র। এছাড়াও দেশের আটটি শহরকে বন্যা পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে ২ হাজার পাঁচশো কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর মধ্যে আহমেদাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর পাশাপাশি কলকাতার নামও রয়েছে। এছাড়াও ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ধস মোকাবিলায় ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।