সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের সামনে মহা’বিপর্যয়’। ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় গুজরাট প্রশাসন সন্ত্রস্ত। তবে বিপর্যয় মোকাবিলার সবরকম প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার যৌথভাবে বিপর্যয় রুখতে সার্বিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকালে গুজরাটের জাখাউ বন্দরের কাছাকাছি ল্যান্ডফল করতে পারে বিপর্যয়। বিপর্যয়ের প্রভাবে গুজরাট-সহ দেশের পশ্চিম উপকূলে ইতিমধ্যে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। উপকূল এলাকাগুলিতে বহু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেশ কিছু এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে ‘বিপর্যয়’ জাখাউ থেকে ২৯০ কিলোমিটার এবং দ্বারকা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
[আরও পড়ুন: লুঙ্গি বা নাইটি পরে বাইরে ঘুরবেন না! আবাসনের নয়া পোশাক বিধি ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক]
মৌসম ভবনের (Mausam Bhavan) আশঙ্কা, বিপর্যয়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার গুজরাটের উপকূলে ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। বুধবারও গুজরাটের কচ্ছ, সৌরাষ্ট্র, জামনগর, দ্বারকা, পোরবন্দর, রাজকোট, জুনাগড় এবং গির-সোমনাথ এলাকায় ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বিপর্যয়ের প্রভাব পড়বে পাকিস্তানেও। আসলে গুজরাটের পশ্চিম উপকূলে প্রায় ৬০ বছরে এত বড় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েনি। তাই প্রশাসন কিছুটা হলেও চিন্তিত।
[আরও পড়ুন: ভাড়া নিয়ে বচসা, যাত্রীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন অটোচালকের!]
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গুজরাটগামী অথবা গুজরাট থেকে রওনা দেওয়ার কথা ছিল এমন ৯৫টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত করেছে পশ্চিম রেল। প্রশাসন সূত্রের খবর, এ পর্যন্ত ৪৭ হাজার মানুষকে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হয়েছে। উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যাদের বাড়ি তাঁদের প্রত্যেককে নিরাপদ স্থানে সরানো হবে। NDRF এবং SDRF-এর বেশ কিছু দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।