নিরুফা খাতুন: শীত যেন এসে এসেও আসছে না। রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের পথে এবার নতুন কাঁটা হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ‘মিধিলি’। বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। যার নাম ‘মিধিলি’। শুক্রবার থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি হতে চলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের (Alipore Weather office) তরফে অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে। মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে মালদ্বীপ (Maldives)।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে শুক্রবার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘মিধিলি’, মলদ্বীপ এই নামকরণ করেছে। বৃহস্পতি, শুক্রবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা রাজ্যের উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ায়। সেইসঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া (Storm) বইতে পারে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে এই ঝড়ের গতিবেগ ৭০ কিলোমিটারও হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘স্যর, আমাকে বাঁচতে দিন’, ভারচুয়াল শুনানিতে কাতর আর্জি জ্যোতিপ্রিয়র]
শনিবারও বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। বাংলাদেশ (Bangladesh) লাগোয়া জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ইতিমধ্যেই এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ১৬ তারিখের মধ্যে তাঁদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁদের উত্তর বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এই সময় সমুদ্র উত্তাল থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী তিনদিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাওয়া অফিস।