নিরুফা খাতুন: 'রেমাল'-এর প্রভাবে ভুগবে বাংলা। শুধু ঘূর্ণিঝড় নয়, প্রবল জলোচ্ছ্বাস ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওয়া অফিস বলছে, সোমবার বিকেল পর্যন্ত দুর্যোগ চলবে। কবে বদলাবে পরিস্থিতি, কী বলছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর?
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের প্রাদেশিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, দুদিনে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হবে। কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে বইবে দমকা হাওয়া। সোমবার বেশি বৃষ্টি হবে নদিয়া মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম জেলাতেও। উত্তরবঙ্গেও দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার বিকেলের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন কলকাতাতে। ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি।
[আরও পড়ুন: জাতীয় দলের কোচ হতে বিশেষ ‘শর্ত’! বিসিসিআইকে কী জানালেন গম্ভীর?]
আপাতত উত্তর বঙ্গোপসাগরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান। বাংলাদেশের মোংলা থেকে সরাসরি ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের। বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে। সাগরদ্বীপ থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়।
রবিবার মাঝরাতে ল্যান্ডফলের সময়ের গতিবেগ থাকবে ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। রাত ১১টা থেকে একটার মধ্যে ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার দুপুর থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত দুর্যোগ থাকবে। বিকেল পাঁচটার পর থেকে রেমালের প্রভাব সরাসরি পড়বে বাংলায়।