স্টাফ রিপোর্টার: সমাজে যারা কোভিডের (Covid 19) সুপার স্প্রেডার, তাঁদের টিকাকরণ করা গেলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাজে অনেকটাই সুবিধা হবে। যেহেতু কেন্দ্রের থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা মিলছে না, তাই সাধারণ ও সুপার স্প্রেডার, এই দু’টি গ্রুপে ভাগ করে টিকা দেওয়ার যে প্রক্রিয়া রাজ্য সরকার অনুসরণ করছে, সেই মডেল আন্তর্জাতিক স্তরে ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা পেয়েছে।
বুধবার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, টিকাকরণের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্রুপ করে দিয়েছেন। যাতে যাঁদের সব থেকে বেশি বিপদ এবং যাঁরা সমাজের জন্য সব থেকে বেশি বিপজ্জনক এই রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে অর্থাৎ সুপার স্প্রেডার, তাঁদের আগে টিকাকরণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড এবং ভারত সরকার এই পদক্ষেপের খুব প্রশংসা করেছে। সীমাবদ্ধ টিকার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কিছু গ্রুপ করা হয়েছে। যাঁরা সুপার স্প্রেডার, যাঁরা সব থেকে বেশি মানুষের সঙ্গে মিশতে বাধ্য হচ্ছেন যেমন সরকারি কর্মচারী থেকে সাংবাদিক, হকার, পরিবহণ কর্মীদের মতো মানুষ-সহ আরও অনেকে, তাঁদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে টিকাকরণ করা করা হচ্ছে বিভিন্ন দপ্তরের উদ্যোগে।
[আরও পড়ুন: শুক্রবার বিধানসভায় শপথ নেবেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ ১২ জন বিধায়ক]
গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড বলেছে, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ যে টিকার সীমাবদ্ধতা থাকলেও নির্দিষ্ট কতগুলি গ্রুপকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকাকরণ করা হলে সব থেকে বেশি ফল পাওয়া যাবে। ভারত সরকারও এই মডেলটিকে পছন্দ করেছে। এমনকী, এই দুর্যোগেও টিকাকরণের কাজ ব্যাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, “টিকাকরণের (Vaccination) কাজ অব্যাহত রাখার জন্য স্বাস্থ্যসচিবকে বলা হয়েছে। এই দুর্যোগের কারণে কোথাও যদি কিছু আটকায় তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”