সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ১৯ বছরে প্রয়াত ‘দঙ্গল’ খ্যাত অভিনেত্রী সুহানি ভাটনাগর (Suhani Bhatnagar)। শনিবার এই খবরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কী এমন হয়েছিল অভিনেত্রীর? ভুল চিকিৎসার ফল নয়তো? এমন প্রশ্ন তৈরি হয়। জানা যাচ্ছে, এই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন সুহানির বাবা পুনীত ভাটনাগর।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পুনীত জানিয়েছেন, ডার্মাটোমায়োসাইটিস নামের রোগের চিকিৎসা চলছিল ১৯ বছরের অভিনেত্রীর। এটি একটি রেয়ার কন্ডিশন। যা ত্বক, মাসল, ফুসফুস-সহ শরীরের একাধিক অঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। পুনীত জানান, মাস দুয়েক আগে সুহানির দুই হাত ফুলতে শুরু করেছিল। সেই সময় তাঁকে স্টেরয়েড দেওয়া হয়েছিল। কারণ তাঁর ক্ষেত্রে নাকি এটিই একমাত্র ওষুধ ছিল।
[আরও পড়ুন: কোটি টাকার চেক বাউন্স! পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর জেল হেফাজতের নির্দেশ]
জানা গিয়েছে, স্টেরয়েডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় সুহানির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। তাঁর ফুসফুস দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে জলও জমে গিয়েছিল। সেই কারণেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেড়ে গিয়েছিল। গত ১০ দিন ধরে এইমসে ভর্তি ছিলেন ১৯ বছরের তরুণী। শুক্রবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। হরিয়ানার মেয়ে সুহানি। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য হয়।
আমির খানের ‘দঙ্গল’ সিনেমায় কুস্তিগীর ববিতা ফোগাটের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুহানি। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৪। এর আগে একাধিক বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছিলেন সুহানি। তবে ‘দঙ্গল’-এর পর খ্যাতি পান তিনি। ‘দঙ্গল’-এর সাফল্যের পর একাধিক কাজের অফার পেয়েছিলেন সুহানি। কিন্তু সেই সময় পড়াশোনায় মন দেন তিনি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, আগে নিজের পড়াশোনা ভালোভাবে শেষ করতে চান। তার পর আবার অভিনয় জগতে ফিরতে চান। কিন্তু তা আর হল না।
[আরও পড়ুন: ‘আমি হিন্দু আর ও মুসলিম…’, বিয়ের এক বছর পূর্ণ হওয়ায় খোলা চিঠি স্বরার]