সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর নামে গ্রামের নামকরণ করে মাথা কাটা গেল বৃদ্ধের। নরেন্দ্র মোদির নামে এলাকার নামকরণ করা হয়েছিল ‘নরেন্দ্র মোদি চক’। নামকরণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন বৃদ্ধ রামচরণ যাদব (৭০)। সেই অপরাধে তলোয়ারের আঘাতে তাঁর মাথা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। শিউড়ে ওঠা ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের দ্বারভাঙা এলাকায়। এই ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মৃতের বড় ছেলে কমল যাদব। যদিও নামকরণের কারণকে প্রায় অগ্রাহ্য করেই জমি সংক্রান্ত বিবাদকে ইস্যু করতে চাইছে স্থানীয় বিজেপি নেতা ও পুলিশ প্রশাসন। এমন অভিযোগ করেছেন মৃতের চোট ছেলে তেজ নারায়ণ যাদব।
[রবিবার মধ্যরাতের পর রাস্তা থেকে গাড়ি তুলে নিচ্ছেন ওলা-উবের চালকরা]
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর কারণ জমি সংক্রান্ত বিবাদ নয়। গ্রামের নাম ‘নরেন্দ্র মোদি চক’ রাখাকে কেন্দ্র করেই যত বিপত্তি। বাবাই রেখেছিলেন নাম। ঘটনার দিন প্রায় বাইকে চড়ে সশস্ত্র ৪০ জন এখানে এল। প্রত্যেকের হাতে হকি স্টিক অথবা তলোয়ার। বেধড়ক মারধরের পর বাবার তলোয়ারের আঘাতে বাবার মাথা নামিয়ে দিল। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছে দাদা রামচরণ যাদব। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে কোনও ফল হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর নামে গ্রামের নামকরণের অভিযোগের বদলে পুলিশ জমি সংক্রান্ত বিবাদের অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও তা ঠিক নয়।’ স্বামীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে স্ত্রী সুশীলাও বলেন, গ্রামের নয়া নামকরণের জেরেই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। জমি বিবাদের ঘটনা ভুয়ো।
ঘটনার খবর পৌঁছেছে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদির কাছেও। তিনি খুনের কারণ হিসেবে জমি বিবাদের কথাই উল্লেখ করেছেন। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং নিত্যানন্দ রাইয়ের অভিযোগ, গ্রামের নয়া নামকরণের জেরেই ঘটেছে হত্যাকাণ্ড। এই প্রসঙ্গে গিরিরাজ সিং বলেছেন, ‘আমি ওই সম্প্রদায়ের লোকজনকে চিনি। একটি রাজনৈতিক দল প্রায় গায়ে পড়ে ওই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিষ ঢোকাতে চেষ্টা করছে। সেই প্রচেষ্টার অন্যতম সাফল্য রামচরণ যাদবের হত্যা। তিনি গ্রামের নাম নরেন্দ্র মোদি চক রেখেছিলেন। তারপর থেকেই সমস্যার পাহাড় উপচে পড়েছে যাদব পরিবারের উপরে।’
গিরিরাজের সুরে সুর মিলিয়েছেন নিত্যানন্দ রাই। তিনি বলেছেন, ‘স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী রামচরণ যাদবের হত্যার মূলে গ্রামের নয়া নামকরণ। যদিও পুলিশ এরমধ্যে জমি বিবাদের ইস্যুকে ঢোকাতে চাইছে। মূল কারণ থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। জমি বিবাদের একটা ঘটনা ছিল। তবে তা পুরনো বিষয়। এই হত্যার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু পুলিশ দুটি ঘটনার মধ্যেই যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সরকারের কাছে আমরা অভিযোগ জানাব।’
[বিয়েবাড়িতে নর্তকীকে কোলে তুলে নাচলেন লালুর দলের নেতা, ভিডিও ভাইরাল]
The post মোদির নামে গ্রামের নামকরণ, তরোয়ালের কোপে মুণ্ডচ্ছেদ ‘দুঃসাহসী’ বৃদ্ধর appeared first on Sangbad Pratidin.