সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক দুর্ঘটনায় রেলযাত্রীদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে৷ পরিস্থিতি এমনই যে রেলমন্ত্রক থেকে সরতে হয়েছে সুরেশ প্রভুকে৷ নয়া রেলমন্ত্রী পীষূষ গোয়েলের জমানায় ছবিটা এতটুকু বদলায়নি৷ আতঙ্কের রেলযাত্রা যেন শেষ হচ্ছে না৷ এবার ব্রেক ছাড়াই ৩৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিল দ্বারভাঙা-লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস৷ নেহাতই বরাতজোরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন যাত্রীরা৷
[বুলেট ট্রেনের বদলে আগে রেলের পরিষেবার দিকে নজর দিক কেন্দ্র: শিব সেনা]
দ্বারভাঙা লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস বিহারের দ্বারভাঙা থেকে মুম্বই যায়। রেল সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের লোকমান্য তিলক টার্মিনাসে প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণের সময়ে ট্রেনটির যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে৷ দেখা যায়, ট্রেনের ২১টি কামরার মধ্যে ১৯টির ব্রেক কাজ করছে না৷ সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি জানিয়ে পূর্ব–মধ্য রেলওয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে চিঠিও লিখেছিলেন রেলওয়ে বোর্ডের সদস্য আর এল গুপ্তা৷ তাতেও কোনও কাজ হয়নি৷ বরং নিরাপত্তা শিকেয় তুলে ব্রেক ছাড়াই মুম্বই থেকে ফের দ্বারভাঙার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দ্বারভাঙা লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রেক ছা়ড়া এভাবে ট্রেন চালানোর কারণে যেকোনও সময়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। নেহাতই কপাল জোরে রক্ষা পান দ্বারভাঙা লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের যাত্রীরা৷ ২১ বগির এই দূরপাল্লা ট্রেনটিতে নিয়মিত যাতায়াত করেন প্রায় দু হাজার মানুষ৷
[বাল্মিকীদের বয়কট নাপিতদের, অস্পৃশ্যতা প্রশ্নে তোলপাড় যোগীর রাজ্য]
খোদ রেলওয়ে বোর্ডের সদস্য চিঠি দিয়েছিলেন৷ তাহলে কেন ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতির উদ্যোগ নিলেন না পূর্ব–মধ্য রেলওয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে? এক্ষেত্রেও শুরু হয়েছে দায় এড়ানোর খেলা। চিফ ইঞ্জিনিয়ার পি আর রাজেশ কুমারের দাবি, তিনি নাকি কোনও চিঠিই পাননি৷ একটা চিঠির জন্য দোষারোপ। কোনও অঘটনা ঘটে গেলে এইসমস্ত আধিকারিকরা দায়িত্ব নিতেন। এই প্রশ্নই ঘুরছে যাত্রীদের মধ্যে।
[ক্যানসার আক্রান্ত ছেলে, স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ মা]
The post OMG! ব্রেক ছাড়াই ৩৫০ কিমি পথ পাড়ি লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের appeared first on Sangbad Pratidin.