সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (TMC Madan Mitra) ছেলের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ করলেন তাঁর স্ত্রী স্বাতী রায়। যদিও এ নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ জানাননি স্বাতী। তাঁর আরজি, “আমাকে বাঁচান। আমি বাঁচতে চাই।” এদিকে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মদন মিত্র জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তবে আইন আইনের পথে চলবে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।
শনিবার ফেসবুক লাইভে আসেন স্বাতী রায়। সেখানেই তিনি জানান, ২০১৪ সালে দেখাশোনা করে মদন মিত্রের বড় ছেলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর পরিস্থিতি বদলে যায় বলে দাবি করেছেন তিনি। স্বাতীর কথায়, “বিয়ের পর জানতে পারি, যাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে সে সাইকোপ্যাথ। মুঠো মুঠো ঘুমের ওষুধ খেত। মদ্যপান করত। আমার গায়ে হাত তুলতে শুরু করল। অকথ্য গালিগালাজ করত।” মন্ত্রীর পুত্রবধূ আরও জানিয়েছেন, “আমার শ্বশুর-শাশুড়ি মারের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। আমি বিচার চেয়েছিলাম। বিচার আমি পাইনি।”
[আরও পড়ুন: COVID-19 Restriction: কড়া বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ল রাজ্যে, শর্তসাপেক্ষে ছাড় মেলা ও বিয়ের অনুষ্ঠানে]
স্বাতী জানান, অত্যাচার এড়াতে বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। দিদির বাড়িতে থাকতেন। তার পরেও রেহাই মেলেনি। তার পরেও বিভিন্নভাবে তিনি অত্যাচারিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এমনকী, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। অত্যাচারের সমস্ত প্রমাণ আছে বলে দাবি করেছেন স্বাতীদেবী। যদিও পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ তিনি দায়ের করেননি। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
[আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের? বনগাঁ লোকালে বঙ্গ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কুরুচিকর পোস্টার ঘিরে শোরগোল]
এদিকে পুত্রবধূর অভিযোগ সম্পর্কে কামারহাটির বিধায়কের মন্তব্য, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ছেলের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমি কোনও খবর রাখি না। তবে আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।” তবে এ প্রসঙ্গে তাঁর ছেলের কোনও মন্তব্য সামনে আসেনি।