সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ফের অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে তলব করল ইডি (Enforcement Directorate)। ডাকা হল অনুব্রত ও সুকন্যাক অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকেও। শুক্রবার তাঁদের হাজিরা দিতে হবে দিল্লির ইডি দপ্তরে। এনিয়ে সুকন্যাকে তৃতীয়বার তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। গ্রেপ্তারির পর তাঁর মেয়ের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। গরু পাচার মামলায় যে চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের সম্পত্তির হিসেবও। চার্জশিটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সেই হিসেব বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। সুকন্যার নামে অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটেরও (Fixed Deposit) হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একজন স্কুল শিক্ষিকা কীভাবে এত বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন, সেই তথ্যের খোঁজে কার্যত উঠেপড়ে লেগেছে ইডি।
[আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতা থাকলে গ্রেপ্তার করুন’, ইডি দপ্তরে হাজিরা না দিয়ে হুঙ্কার হেমন্ত সোরেনের]
এই তথ্যের হদিশ পেতে পরপর দু’দিন তাঁকে জেরা করা হয়েছে। তাতেও সন্তুষ্ট নয় ইডি। তাই ফের শুক্রবার জেরার মুখোমুখি হতে হবে অনুব্রতকন্যাকে। তিনি একা নন, তাঁর আয়-ব্যয়ের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকেও তলব করা হয়েছে। বুধবারের ম্যারাথন জেরার পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ফের দিল্লির ইডি দপ্তরে যান তিনি। এদিন ৯ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে।
ইডি’র তরফে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথম নোটিসে ২৭ অক্টোবর দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। রাজ্যের বাইরে থাকায় সিবিআইয়ের (CBI) তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বান্ধবীর চিকিৎসা করাতে তিনি ভিনরাজ্যে থাকায় হাজিরা দিতে পারবেন না বলে ইডিকে জানিয়েছিলেন। এরপরে ২৭ তারিখ রাতেই সুকন্যাকে ই-মেল করে ফের ২ নভেম্বর দিল্লিতে তলব করা হয়। সেই অনুযায়ী বুধবার সকাল ১০টার কয়েক মিনিট আগেই হাজিরা দেন তিনি।