সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুখ্যাত ‘স্যান্ডপেপার গেট কাণ্ড’-কে সামনে এনে ডেডিড ওয়ার্নারকে (Mitchell Johnson) তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন মিচেল জনসন (David Warner)। কেন বাঁহাতি ওপেনারকে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে, সেটা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন প্রাক্তন পেসার। সেই অপমানের জবাব ব্যাটেই দিলেন অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ওপেনার। বিদায়ী সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ওয়ার্নারের নামেই লেখা থাকল। শাহিন শাহ আফ্রিদিদের (Shaheen Shah Afridi) বলকে গ্যালারিতে ফেলে টেস্ট কেরিয়ারের ২৬তম সেঞ্চুরি সেরে নিলেন ওয়ার্নার। ১২৬ বলে শতরান করেন তিনি।
একটা সময় মনে হচ্ছিল ওয়ার্নার যে কোনও মুহূর্তে ডাবল সেঞ্চুরি সেরে ফেলতে পারেন। কিন্তু সেটা হয়নি। ২১১ বলে ১৬৪ রানে থেমে যায় তাঁর এই মারমুখী ইনিংস। মারলেন ১৬টি চার ও ৪টি ছক্কা। ৭৭.৭২ স্ট্রাইকরেট বজায় রেখে পাক বোলারদের ক্লাবস্তরে নামিয়ে আনেন অজি ওপেনার। ৭৪.৫ ওভারে ডানহাতি জোরে বোলার আমির জামাল তাঁকে আউট করেন। ওয়ার্নারের ক্যাচ ধরেন ইমাম উল হক।
শেষ টেস্ট সিরিজের আগে নিজের ইনস্টাগ্রামে নিজের ছোটবেলার একটি ছবি পোস্ট করেছেন ওয়ার্নার। লিখেছেন, ‘সব উঠতি এবং তরুণ খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে আমি এটা বলতে চাই, এটি আমার ছেলেবেলার ছবি যখন আমি প্রথম ব্যাগি পাই। আমি সবাইকে একটাই কথা বলতে চাই বড় স্বপ্ন দেখে যাও। কখনও স্বপ্ন দেখতে ভয় পাবে না। সেই স্বপ্ন তোমার জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের উপর বিশ্বাস রাখো এবং ১০০ শতাংশ দিয়ে যাও। দেখবে তুমি সফল হবেই। কেউ তোমার নিন্দা বা সমালোচনা করলে, তাতে পাত্তা দেবে না। তার জায়গায় নিজের খেলার উপর মনোযোগ দেবে। নিজেদের আশেপাশে শুধু তাদেরই রাখ যারা আপনাকে উদ্বুদ্ধ করবে আগে এগিয়ে চলার। মনে রাখবে বাজে সময় আসে, কিন্তু সেটা চিরস্থায়ী নয়।’
[আরও পড়ুন: দুবছর পরে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরল ভারতের মহিলা দল, একই দিনে অভিষেক তিন তারকার]
পারথ টেস্টের শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন ওয়ার্নার। উসমান খোয়াজা একটা দিক আগলে রাখার জন্য চালিয়েই খেলতে থাকেন ওয়ার্নার। বিশেষ করে পাকিস্তানের পেসারদের বিরুদ্ধে উইকেটের সামনের দিকে বেশ কয়েকটি শট খেলেন তিনি। ১০০-র বেশি স্ট্রাইক রেটে অর্ধশতরান করেন ওয়ার্নার। একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল, মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই শতরান করে ফেলবেন ওয়ার্নার। সেটা অবশ্য হয়নি।
এবং এমন দাপুটে ইনিংস খেলার মধ্যে বেশ কয়েকটি চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়া শট মারেন তিনি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য শাহিনকে হাঁটু মুড়ে ছক্কা মেরে দেওয়া। ম্যাচের ২১.২ ওভারের ঘটনা। হাঁটু মুড়ে ছক্কা মেরে পিচেই শুয়ে পড়েন। পাক পেসারকে কোনও তোয়াক্কাই করেননি তিনি। দাপটের সঙ্গে ব্যাটিং করে চলেছেন ওয়ার্নার। খোয়াজার সঙ্গে ওপেন করতে নেমে চেনা ফর্মে পাওয়া গেল অজি তারকাকে। তবে খোয়াজ, মার্নাস লাবুশানে, স্টিভ স্মিথরা আউট হলেও ওয়ার্নারের দাপট বজায় ছিল।