শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত জামিন পেলেন স্বেচ্ছাসেবী অঙ্কুর দাস। পাঁচদিনের মাথায় ফিরলেন ঘরে।
গত ৫ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে শবদেহ কাঁধে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার পিছনে চক্রান্তের অভিযোগ উঠেছিল সাহায্যকারী অঙ্কুর দাসের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক সংগঠন। অভিযোগ করা হয়, মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বের করে কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার চিত্রনাট্য সাজিয়েছিলেন অঙ্কুর। ক্রান্তির মৃতার পরিবার মৃতদেহ কাঁধে করে কিছুটা যাওয়ার পরই শববাহী গাড়ি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন অঙ্কুর। প্রশাসন এবং সরকারকে বদনাম করতেই অঙ্কুর এই ষড়যন্ত্র করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার অঙ্কুর দাসকে গ্রেপ্তার করে চারদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘দিলীপ ঘোষের সময়ে কোনও সমস্যা ছিল না’, বিজেপির WhatsApp গ্রুপে বিস্ফোরক ভারতী ঘোষ]
রবিবার রিমান্ড শেষে অঙ্কুর দাসকে জলপাইগুড়ি আদালতে হাজির করে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। রিমান্ডের বিরোধিতা করার পাশাপাশি অঙ্কুর দাসের হয়ে জামিনের আবেদন জানান তার আইনজীবীরা। শেষ পর্যন্ত জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী সৌম্য চক্রবর্তী জানান, শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া জেলার বাইরে যেতে পারবেন না। সপ্তাহে একদিন করে আদালতে হাজিরা দিতে হবে অঙ্কুরকে। অঙ্কুর দাসের আইনজীবী সন্দীপ দত্তর দাবি, অঙ্কুরকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যে অ্যাম্বুলেন্স চালক সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে অঙ্কুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই সংগঠনের কোনও বৈধতা নেই বলেই দাবি। হাসপাতালের ভিতর কী করে তারা ব্যবসা করে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এদিকে জামিনে ছাড়া পেয়ে অঙ্কুর দাসের দাবি, সত্যের জয় হল। যারা তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে তাদের অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে আবারও সরব হবেন তিনি। একই সঙ্গে তার সংগঠন সেবামূলক কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।