সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমুদ্রতটে হাঁটতে বেরিয়ে চমকে উঠেছিলেন পর্যটকরা। বালির মধ্যে পড়ে কাটা মুণ্ডু। একটু দূরে অর্ধনগ্ন দেহ। স্বাভাবিকভাবেই এমন দৃশ্য দেখে চমকে ওঠেন পর্যটকরা। কিন্তু এগিয়ে দেখার সাহস হয়নি তাঁদের। খবর যায় পুলিশের কাছে। দেহ উদ্ধার করতে এসে চক্ষুচড়ক গাছ পুলিশের। কিন্তু কেন?
থাইল্যান্ডে ব্যাং সায়েন সমুদ্রতট। দিন কয়েক আগে সেখানেই বেড়াতে বেরিয়েছিলেন একদল পর্যটক। হঠাৎ বীভৎস দৃশ্য দেখে তাঁরা চমকে যান। দেখেন, সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে এসেছে একটি দেহ। যার মাখা নেই। ঊর্ধ্বাংশে রয়েছে বাদামী জামা। নিম্নাংশ উন্মুক্ত। কার দেহ, কোথা থেকে এল, খুন করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। এরপরই খবর যায় পুলিশে।
[আরও পড়ুন: ‘পুরাতনই ভিত্তি, নতুনই ভবিষ্যৎ’, এবার মমতা-অভিষেকের যৌথ ছবি দিয়ে নতুন পোস্টার শহরে]
দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ছুটে যায় সাইক সুক এলাকার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে মাথায় হাত তাদের। দেহটি দেখে বুঝতে পারছিলেন না হাসবেন না কাঁদবেন। কারণ দেহটি কোনও রক্ত মাংসের মানুষ নয়, সমুদ্রতটে পড়ে ছিল একটি জড় বস্তু। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সমুদ্রতটে পড়ে থাকা দেহটি পুতুল অর্থাৎ ‘সেক্স টয়‘। সঙ্গে সঙ্গে পুতুলটিকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে সেটিকে নষ্ট করে দেওয়া হয়নি।
পুলিশ জানায়, পুতুলের মালিক পরবর্তী সময় দাবি জানাতে পারে। তাই এটাকে আলাদাভাবে রেখে দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ দেখিয়ে তিনি পুতুলটি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। তবে সেক্স ডল সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন পড়েছে। অনেকেই এর নিন্দা করেছেন। তাদের কথায়, এধরনের সামগ্রী সমুদ্রে ফেলার ফলে বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হতে পারে।