অরূপ বসাক, মালবাজার: মালবাজার (malbazar) মহকুমার নাগ্রাকাটা ব্লকের গাঠিয়া চা বাগানে এক চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার আপার ডিভিশনের শ্রমিকরা আচমকাই দেখতে পান পশুটির মৃতদেহ। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বাগান পরিচালকদের। খবর যায় বন দপ্তরে। দপ্তরের কর্মীরা এসে মৃত চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার করেন।
বেশ কিছুদিন যাবৎ চিতাবাঘের উপদ্রবে অস্থির ছিলেন ওই এলাকার শ্রমিক ও সাধারণ বাসিন্দারা। বার বার চিতাবাঘের হানায় ছড়াচ্ছিল আতঙ্ক। এমনকী কয়েকজন শ্রমিক চিতাবাঘের আক্রমণে আহতও হয়েছেন বলে দাবি। তাছাড়াও তাঁরা জানিয়েছেন মাঝে মধ্যেই বাড়ির পোষা ছাগল, মুরগি তুলে নিয়ে যায় চিতাবাঘে। বন দপ্তরে খবর দেওয়া হলে তাঁরা তদারকি চালালেও অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয় না। এবার সেখানেই উদ্ধার হল এক চিতাবাঘের দেহ।
[আরও পড়ুন: বাড়ল ভোটের কাজে নেওয়া গাড়ির ভাড়া, কিছুটা স্বস্তিতে মালিকরা]
আজ, মঙ্গলবার সকালে গাঠিয়া চা বাগানে কাজ করতে গিয়ে মনোজ ভুজেল, রজত ওঁরাও নামে দুই চা শ্রমিক প্রথম মৃত চিতা বাঘটিকে দেখেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, “সকালে কাজ করার সময় মৃত চিতাবাঘটিকে দেখতে পাই আমরা। তার পর চা বাগান কর্তৃপক্ষকে জানাই”। বন দপ্তরের বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়ার রেঞ্জার সজল দে জানান, চিতাবাঘের মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পরই পরিষ্কার হবে।
[আরও পড়ুন: ১০০ দিনের টাকা থেকে কাটমানি! অভিযুক্ত উপপ্রধানের স্বামী]
একটি চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার হলেও বাগানে আরও চিতাবাঘ আছে বলে দাবি শ্রমিকদের । তাঁরা জানান, এই বাগানে আরও চিতাবাঘ রয়েছে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন গাঠিয়া বাগানের ম্যানেজার নবীন মিশ্র। তিনি বলেন, “বাগানে আরও চিতাবাঘ রয়েছে। খাঁচা পাতার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বন দপ্তরকে “।