কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: ‘একবার কথা বলো প্লিজ।’ ভয়েস মেসেজ পেয়েও সাড়া দেয়নি প্রেমিকা। এর পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন প্রেমিক। দুদিন পর বহরমপুরের নিখোঁজ যুবকের দেহ মিলল ভাগীরথী নদীতে। মনে করা হচ্ছে, প্রেমে টানাপোড়েনের জেরেই মৃত্যু হয়েছে যুবকের।
শঙ্কু হালদার (২১) নামে ওই যুবকের দেহ দুদিন পর শনাক্ত করলেন পরিবারের লোকজন। ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বহরমপুরের ভাকুড়ি ঠাকুরপাড়া এলাকায়। ভাকুড়ির ঠাকুরপাড়ার মৎস্য ব্যবসায়ী ভোলা হালদারের একমাত্র ছেলে শঙ্কু হালদার বিএ পাস করে পুলিশের চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গরমের কারণে বাড়ির বারান্দায় ঘুমোতেন শঙ্কু। গত ১৫ মে গভীর রাতে বাড়ির বারান্দা থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান শঙ্কু।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে ‘কুকথা’! অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের]
ভোলা হালদার ভোরবেলায় উঠে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বহরমপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। পরের দিন সন্ধেবেলায় ভাগীরথী নদীর চর সুঙ্গায় এলাকায় ভেসে ওঠে এক যুবকের দেহ। ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করলেও তাঁর নাম পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। এর পর রবিবার ওই যুবকের জামা প্যান্ট, হাতের বালা দেখে পরিবারের লোক বুঝতে পারেন যে ওই মৃতদেহ শঙ্কুর।
এদিকে শঙ্কুর মোবাইল সুইচড অফ হলেও পুলিশ জানতে পারে এক যুবতীর সঙ্গে প্রেম চলছিল তাঁর। ঘটনার দিন রাতে ওই যুবতীকে ফোনে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছিলেন তিনি। ‘একবার কথা বলো প্লিজ’এই ভয়েস মেসেজ পেয়েও ওই যুবতী কোনও সাড়া দেননি। এরপরেই শঙ্কু নিখোঁজ হয়ে যান। এদিকে শঙ্কুর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পরিবারের লোকজন কিছুই বুঝতে পারছেন না। শঙ্কুর বাবা ভোলা হালদার বলেন, কীভাবে কী হয়ে গেল, কেউ তাঁর ছেলেকে ডেকে নিয়ে গেল কিনা কিছুই তিনি বুঝতে পারছেন না। শঙ্কুর মৃত্যুরহস্যের উন্মোচন হোক সেটাই তিনি চান। মৃত্যু নিয়ে পুলিশও ধন্দে রয়েছে। শঙ্কু যদি আত্মহত্যা করতেই চায়, তাহলে বাড়ি থেকে প্রায় ৫ কিমি দূরে কেন যাবে! কে ওই মৃত্যুর জন্য দায়ী। ওই সমস্ত প্রশ্ন উঠে আসছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।