সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: এক বছরের বেশি সময় ধরে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের জন্য শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সেই দলেই যোগদান কাউন্সিলর ভাইপো মিঠুন কান্দুর! পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর মিঠুন কান্দু বুধবার রাতে বাঘমুন্ডিতে তৃণমূলের পতাকা ধরায় ঝালদা পুর শহর জুড়ে নানা আলোচনা। কেন মিঠুনের এমন দলবদল? জানতে চাইছে ঝালদা।
যোগদানের পর মিঠুন কান্দু বলেন, “মানুষ ভোটে জিতিয়েছেন উন্নয়ন করার জন্য। আরও ভালভাবে যাতে উন্নয়ন করতে পারি সেজন্যই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।” কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে নিহত কাকা তপন কান্দুর হত্যাকাণ্ডের জন্য তো শাসক দলের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছিলেন? তার উত্তর, ” ওই ঘটনার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করা হয়নি। হাই কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক তদন্ত চলছে। দোষীরা সাজা পাক। এটাই চাই। কিন্তু আমাদের জন্য তো ঝালদার মানুষের কষ্ট হোক সেটা চাইব না। সেই কারণেই তৃণমূলে এলাম। ” এই যোগদানের পর নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী তথা মিঠুন কান্দুর কাকিমা উপ-পুরপ্রধান পূর্ণিমা কান্দু বলেন, “যারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁদের লজ্জা বলে কিছু নেই। তারা আমাদের সঙ্গে বেইমানি করলেন।”
[আরও পড়ুন: শুক্রবার ব্রাত্যর ডাকা বৈঠকের আগে আচমকা ইস্তফা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের]
২০২২ সালের ১৩ ই মার্চ ঝালদা-বাঘমুন্ডি রাস্তায় খুন হন পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। এই ঘটনার পরেই নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী তথা কাকিমা পূর্ণিমা কান্দুকে নিয়ে ভাইপো মিঠুন কান্দু সর্বত্র সরব হয়েছিলেন। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তৃণমূলকে। তারপর এই মিঠুনকেই ওই পুরসভার দু’ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী করে। নিহত তপন কান্দুর আবেগে জয়লাভ করেন মিঠুন কাঁন্দু। সেই মিঠুন শিবির বদল করায় হতবাক ঝালদা পুরশহর। কিন্তু এর পিছনে কারণ কি? পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, “প্রশাসনিক চাপ। সেই সঙ্গে প্রলোভন। আর সুবর্ণরেখা জল প্রকল্পের টোপ। এভাবেই জোর করে আমাদের কাউন্সিলরদের তৃণমূল দলে টেনেছে। তৃণমূল না হলে উন্নয়ন করা যাবে না টাকা-পয়সা মিলবে না এটা কেমন নিয়ম?”