সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃতির রুদ্ররোষে জ্বলছে হাওয়াই। লেলিহান দাবানলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত বিধ্বংসী আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন ৯৬ জন। মৃত্যুমিছিল আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা উদ্ধারকারীদের। গত একশো বছরে দাবালনের জেরে আমেরিকায় এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর খতিয়ান। যা নিয়ে হাওয়াইয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে অসন্তোষ।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ৯৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এখনও ঘরবাড়িতে তল্লাশি করা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছ। রবিবার হাওয়াইয়ের সেনেটর মাজিই হিরোনোকে প্রশ্ন করা হয়, কেন দ্বীপের সাইরেন সক্রিয় করা হয়নি। এর উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষা করছি।”
[আরও পড়ুন: মডেলদের বিবস্ত্র করে ছবি তোলার অভিযোগ! বিতর্কে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা]
জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে হাওয়াইয়ের মাউয়ি দ্বীপের কাছেই হ্যারিকেন আছড়ে পড়ে। ঝড়ের ধাক্কায় লাহাইনা এলাকায় হাওয়ার দাপট শুরু হয়। সেখান থেকেই অগ্নিকাণ্ডের শুরু। হুহু করে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে দাবানল। তার জেরেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা মাওয়ি দ্বীপ। ইতিমধ্যেই লাহাইনা এলাকায় ২২০০ উপর ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হাওয়াইয়ের দাবানলকে ইতিমধ্যেই বিপর্যয় হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাষ্ট্রের তহবিল ব্যবহার করে ত্রাণের ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তবে স্থানীয়দের মতে, এখনও মাউয়ি দ্বীপের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে আরও এক সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে। কত মানুষ এখনও ঘরছাড়া, কত বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে-সেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন।